Entertainment
বিশ বছর আগে কুড়িয়ে পাওয়া মিঠুনের মেয়েটি এবার বলিউডে পা রাখতে চলেছে
সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর উদারতার দিক থেকে খুবই ভালো মনের পরিচয় পাওয়া যায় কারণ তিনি সমাজের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক কিছু দান করেছেন। তবে খবর সূত্রে আরো একটি তথ্য উঠে এসেছে, প্রায় বিশ বছর আগে তিনি এক কন্যাশিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন যাকে তিনি পান আবর্জনা থেকে। নিজের সন্তানদের মতই লালন-পালন করে তাকে বড় করে তোলেন, এমনকি নামও দেন তার পদবী অনুসারে। এটা কোন সিনেমার ঘটনা নয়! একদম সত্য একটি ঘটনা।
খবর সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, প্রায় বিশ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের কোন একটি ডাস্টবিনে পড়ে থাকা এক শিশু কন্যা অবিরত কাঁদছিল ও চিৎকার করছিল। সেই খবর পেয়ে এনজিওর কয়েকটি সংস্থা তাকে উদ্ধারের কাজে লেগে পড়েন। এই খবর জানতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী সাথে সাথে তিনি ওই ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
মিঠুন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মেয়েটিকে দেখে তার খুব মায়া হয় এবং তাকে তখনই তিনি দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যা দেখে সকলে খুব খুশি হয়েছিলেন। সেই শিশুকন্যাটিকে তার বাড়িতে আনলে তার স্ত্রী যোগিতা এই সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেন এবং তাদেরই সন্তানের মত সেই শিশু কন্যাটি থাকতে শুরু করে।
বাড়িতে এই নতুন শিশুকন্যাটি আসার পর সকলে যেন খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠেছিল এবং মিঠুন চক্রবর্তী রাতারাতি সম্পূর্ণ কাগজপত্র তৈরি করে ওই মেয়েটির নামকরণের ব্যবস্থা করেন এবং তার নাম দেন দিশানি। অর্থাৎ দিশানী চক্রবর্তী। নিজের পিতৃত্বের পরিচয় দিয়ে অত্যন্ত ভালোবাসা ও যত্নের সাথে লালন পালন করে আসছে সেই থেকে আজও।
মিঠুনের পরিবারে ছিল আরো তার তিন সন্তান মিমো, উস্মে এবং নানশি। তবে তারা কখনোই দিশানিকে আলাদা চোখে দেখেনি। খবর সূত্রে জানা গিয়েছে যে ছিল তাদের পরিবারের সকলের নয়নের মনি। তার সমস্ত শখ-আহ্লাদ পূরণ করেছে। বর্তমানে তিনি বলিউডে পদার্পনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখন নিউইয়র্ক এর ফিল্ম একাডেমিতে পড়াশোনা করছে। তার স্বপ্নের নায়ক হলেন সালমান খান।
মিঠুন চক্রবর্তী গোপনে অনেক বড় বড় কাজ করে গেছেন যে বিষয়গুলো তিনি কখনোই প্রচারের মাধ্যম চান নি। অনেক হসপিটাল এবং বহু দাতব্যশালায় দান করেছেন গরিব মানুষের সহায়তার জন্য।
