Village of Widows: রাজস্থানের জয়পুরকে পিঙ্কসিটি, যোধপুরকে সানসিটি ও উদয়পুরকে হ্রদের শহর বলা হয়। একইভাবে বুন্দী জেলার বুধপুরা (Budhpura) গ্রাম ‘বিধবাদের গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত। এ গ্রামের মানুষের কাছে তাদের আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে অভিশাপ।
আসলে ‘সিলকোসিস’ রোগে আক্রান্ত হয়ে এই গ্রামের শত শত মানুষ যারা পাথর কাটার কাজ করে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে এ গ্রামের ৩৫ বছরের বেশি বয়সী ৭০ শতাংশ নারীর দাবির সিঁদুর মুছে গেছে।
বুধপুরা গ্রামের পুরুষরা যৌবনে সিলিকোসিসের শিকার হয়। এই এলাকা খনির জন্য বিখ্যাত। এখানে বালি, পাথর খনন করা হয়। তবে এখানে অন্যান্য গ্রামের তুলনায় সিলিকোসিসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বুধপুরা গ্রাম। পাথর কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা মারাত্মক ধূলিকণার কারণে সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়।
প্রতিরোধের জন্য সব রকম প্রচেষ্টার পরও এই পাথরের ধুলো তাদের ফুসফুসে জমা হচ্ছে। একবার এই রোগের কবলে পড়লে এর থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। কথিত আছে, এখানকার পুরুষরা কখনোই বৃদ্ধ হয় না। যৌবনে এই রোগে তারা মারা যায়।
এ কারণে বিধবাদের সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে গ্রামে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী নারীদের ৭০ শতাংশই বিধবা।চিকিৎসা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই এলাকায় গত চার বছরে ২২৩ জন সিলিকোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে কতজন মারা গেছে তার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একবার সিলিকোসিসে আক্রান্ত হলে একজন ব্যক্তির আয়ু সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় প্রতিরোধ। জনগণকে সচেতন করতে স্বাস্থ্য বিভাগ এই সমস্ত জায়গায় ক্যাম্পের আয়োজন করা হচ্ছে।