News
এখনো ৭ লাখ ভাইরাস অচেনা, কিভাবে তা ছড়াতে পারে তা জানালেন বিজ্ঞানীরা
গোটা বিশ্বকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলেছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই রেকর্ড সৃষ্টি করে আক্রান্ত মানুষের বসংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়েছে এই ভাইরাস। কবে এই মৃত্যুর খেলা শেষ হবে তা কেবল করোনাই জানে! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে দিয়েছে, করোনাকে সাথে করেই বসবাস করতে হবে। স্বাস্থ্য বিধির উপর কোনরকম অসতর্ক হওয়া যাবে না।
তাই এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে বিশ্বের প্রতিটি দেশেই চলছে লকডাউন। এই ভাবেই করোনাকে দমিয়ে রাখা যেতে পারে। আর তাই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে জীবনযাপন ফিরবে বলে সকলেই আশাবাদী।
তবে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বনভূমি যত বেশি ধ্বংস হবে ততই বেশি মানুষ অচেনা ভাইরাস আক্রান্ত হবে। কারন মানুষ এবং বন্য প্রাণীদের মধ্যে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছে বনভূমি। আর এই বন্যপ্রাণীদের শরীরের মধ্যেই নানান অজানা ভাইরাস লুকিয়ে আছে যেগুলি মানুষের সংস্পর্শে এলেই চরম বিপর্যয় নেমে আসবে।
এর আগে যেসকল মহামারীতে মানুষের জীবনে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছিল তা সবগুলি বন্যপ্রাণীদের শরীর থেকেই ছড়িয়েছিল। এরমধ্যে হল প্লেগ, স্প্যানিশ ফ্লু, মার্স, সার্স, ইবোলা এবং সোয়াইন ফ্লুর মতো ইত্যাদি মারাত্মক ভাইরাস। তবে এখনো কয়েক লাখ ভাইরাস রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে বিজ্ঞানীরাও নাম জানেনা।
কার্যত মানবজাতি একটা ঠিক টাইম বোমার ওপর বসে রয়েছে কখন বিস্ফোরণ ঘটবে তা কেউ জানে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন পরিচালক রাজেশ ভাটিয়া জানিয়েছেন যে, মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জীবজন্তুর মধ্যে প্রায় ৭ লক্ষ অজানা ভাইরাস সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে, যেকোনো সময় সেগুলি মহামারীর আকার নিতে পারে। এখনো পর্যন্ত ২৬০টি ভাইরাসকে চিহ্নিত করা গিয়েছে।
এখন আমাদের চারিপাশে পশুপাখির স্বাস্থ্য সুরক্ষাও গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন রাজেশ ভাটিয়া। কারণ এর আগে যে সকল ভাইরাসগুলো ছড়িয়েছিল তা সবই প্রাণীবাহিত। এই সংক্রমণকে প্রথম ধাপেই প্রতিরোধ করতে না পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই বাইরে চলে যায়।
এছাড়াও ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি ইউনিভার্সিটির ভাইরাস বিশেষজ্ঞ মারিয়া সোদারলুন্ড ভেনার্মো জানিয়েছেন, যেকোনো ধরনের প্রাণীর মাংস ভক্ষণ করলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে। আরো ১২ টি ভয়াবহ ভাইরাস মানব জাতির সামনে রয়েছে যেগুলি অদূর ভবিষ্যতে মহামারীর কারণ হয়ে উঠতে পারে।
