News
ভারতের ‘কালি’-র ভয়ে চীন থেকে পাকিস্তান দুই শত্রু দেশ আঁতকে উঠবে
ভারতের বলতে এখানে কোন দেবী মা এর নাম বলা হয়নি। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা অত্যাধুনিক ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছেন যার নাম কিলো অ্যাম্পিয়ার লিনিয়র ইনজেক্টর, সংক্ষেপে কালি। এই শক্তিশালী অস্ত্রের ভয় চীন থেকে পাকিস্তান ভয়ে কাঁপতে থাকে। পরীক্ষা করেও এর সাফল্য পাওয়া গেছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ১৯৯৫ সালে এই শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করেন।
ক্ষেপণাস্ত্র বানানোর প্রাথমিক পর্যায় শেষ হলে এর শক্তি বৃদ্ধির কাজ শুরু করেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে কালির এমন ক্ষমতা যে মহাকাশে ভাসমান যে কোন কৃত্রিম উপগ্রহ কে মুহূর্তেই ধ্বংস করে দিতে পারে। এটি ব্যবহার করা হয় অনেকটাই লেজার অস্ত্রের মতোই।
বিশ্বের প্রতিটি উন্নতশীল দেশের হাতেই রয়েছে লেজার জাতীয় অস্ত্র কিন্তু ভারতের লেজার না থাকলেও কালিই যথেষ্ট। প্রথমদিকে ০.৪ গিগাওয়াট শক্তির ইলেকট্রন ফেরত নিয়ে হামলা করার ক্ষমতা ছিল কালির। এরপর এই অস্ত্রের আধুনিকীকরণ করা হয়। নাম দেওয়া হয় কালি-৫০০০। এটি খুবই ক্ষমতাশালী একটি অস্ত্র। কালি-৫০০০ এখন ৪০ গিগাওয়াট শক্তির ইলেকট্রন স্রোত ছাড়তে সক্ষম।
ভারতের কোন এলাকায় যদি ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমান হামলা করার চেষ্টা করে তাহলে কালি কয়েক মিনিটেই তা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে। ইলেকট্রন কণার তীব্র স্রোত থাকার কারণে যেকোন ক্ষেপণাস্ত্রকে মুহূর্তে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে। প্রথমে এটি উত্তপ্ত কণার স্রোত হয়ে মহাকাশে সেই বিকিরণ ছড়িয়ে পড়বে এরপর মাইক্রোওয়েভ এর সাথে সংযোগ স্থাপন করবে। সেই মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ প্রবল আঘাত হানবে শত্রু দেশের হামলাকারী ক্ষেপনাস্ত্রের উপর।
লেজার অস্ত্রের কাজ হল হামলাকারী কোন ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ছিদ্র তৈরি করে ধ্বংস করতে পারে। আর এদিকে কালি-৫০০০ যে ইলেকট্রন কণার স্রোত তীব্র বেগে বিকিরণ ছাড়বে তার কাছাকাছি এলেই শত্রুপক্ষের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ঝলসে যাবে। মুহূর্তেই সেটি ধ্বংস হবে আকাশের মধ্যে। প্রথমে বলা হয়েছিল এটি শিল্পের কাজে ব্যবহার হবে। তবে পরবর্তী কালে ভারতের সামরিক বাহিনীতে এটি অন্তর্ভুক্ত হলে পার্শ্ববর্তী দুই শত্রু দেশ আঁতকে উঠবে
