বীরেন্দ্র শেবাগকে চেনেনা এমন কোন ক্রিকেটপ্রেমী নেই শুধু তাই নয় তিনি সর্বকালের সেরা অন্যতম একজন মারকুটে ব্যাটসম্যান যিনি সেঞ্চুরি হোক বা ডাবল সেঞ্চুরির মুখে দাঁড়িয়েও ছক্কা মারতেও দ্বিধা বোধ করতেন না এমনকি অন্য কোন ব্যাটসম্যান সেই সময়ে দেরি করলেও তাকে তিনি সেই সাহস যোগাতেন। তবে তার কয়েকবার হাতছাড়া হয়েছিল সেঞ্চুরি।
গতকাল ছিল ভারতীয় প্রাক্তন অধিনায়ক অনিল কুম্বলের শুভ জন্মদিন। যিনি টেস্ট ক্রিকেট হোক ওয়ানডেতে ভারতীয় বোলার হিসেবে সর্বাধিক উইকেটের মালিক হয়ে আছেন এখনো অব্দি। কিন্তু তাঁর জন্মদিনে বীরেন্দ্র শেবাগ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করলেন এবং তাকে ১০০ বছর বাঁচার জন্য শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু কেন বীরেন্দ্র শেবাগ দুঃখ প্রকাশ করলেন?
বীরেন্দ্র শেবাগ টুইটারে লিখেছেন, “ভারতের অন্যতম সেরা একজন ম্যাচ উইনার এবং একজন আদর্শ ব্যক্তি। তোমাকে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি থেকে বঞ্চিত করার জন্য খুবই দুঃখিত অনীল ভাই। কিন্তু প্রার্থনা করি রিয়েল লাইফে যেন সেঞ্চুরি করতে পারো। এখন তো মাত্র ৫১! এগিয়ে যাও! হ্যাপি বার্থডে”
One of India’s greatest ever Match winners and a terrific role model. Sorry for depriving you of your second century @anilkumble1074 bhai. But I pray that you score a century in real life. Only 51 more to go.. come on ..come on Anil Bhai ! Happy Birthday pic.twitter.com/P7UnvoLBlU
— Virender Sehwag (@virendersehwag) October 17, 2019
আরও পড়ুনঃ ক্রিকেটপ্রেমীদের সুখবর! মাঠে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আবার দেখা যাবে
আসলে বীরেন্দ্র শেবাগ তার টুইটারে যে ঘটনাটি কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন সেটা ২০০৮ সালের অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড টেস্ট চলছিল! ভারত সেই সময় ৯ উইকেটে ৪৭০ রান করে, ক্রিজে ছিলেন ইশান শর্মা এবং অনিল কুম্বলে, তিনি তখন ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এরপর চা বিরতি হলে তাকে বীরেন্দ্র সেহবাগ উপদেশ দিয়েছিল বাউন্ডারি মেরে দ্রুত সেঞ্চুরি করতে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা মত অনিল কুম্বলে ব্যর্থ হন। তারপরে দুই ওভারের মধ্যেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে আসেন। তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি মিস হওয়ার জন্য তখন ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন বীরেন্দ্র শেবাগ।
আরও পড়ুনঃ বিরাট কোহলিকে “বিশেষ বার্তা” দিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী
প্রসঙ্গত, অনিল কুম্বলে সম্প্রতি আইপিএলের দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন কিছুদিন আগেই। এর আগে ভারতের জাতীয় দলে তিনি প্রধান কোচ ছিলেন যেখানে বিরাট কোহলির সাথে মনোমালিন্য হয়ে দলত্যাগী হন।