ম্যাচ ফিক্সিংএ জেল খেটেছেন, তারপর মামলা লড়ার আইনজীবীকেই বিয়ে করেছেন এই পাক ক্রিকেটার

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মামলা লড়ার জন্য আইনজীবীকে বিয়ে করেছেন এক পাকিস্তানি ক্রিকেটার

ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং এর ঘটনা আজ নতুন নয়। বিশেষ করে পাকিস্তানের বেশকিছু খেলোয়াড় রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে নানান সময়ে ম্যাচ ফিক্সিং এর অভিযোগ উঠেছিল এবং কেউ কেউ জেলও খেটেছেন। তবে এই প্রতিবেদনে এমনই এক পাকিস্তানি ক্রিকেটারের কথা বলা হয়েছে, যিনি তার আইনজীবীকেই বিয়ে করেছেন।

আসলে এখানে ২০১০ সালের ম্যাচ ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আমিরের (Mohammad Amir) কথা বলা হয়েছে। এই পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারের পাশাপাশি সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। এই সময় মোহাম্মদ আমিরের হয়ে মামলা লড়েছিলেন এক পাকিস্তানি বংশভূত ব্রিটিশ নাগরিক, নারজিস খান (Narjis Khan)।

আসলে মোহাম্মদ আমির ও নারজিস খানের প্রেমের গল্পটি খুবই আকর্ষণীয়। ২০১০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হলে মোহাম্মদ আমিরকে জেলে যেতে হয়েছিল। তার হয়ে মামলা লড়ার জন্য এগিয়ে আসেন নারজিস খান। এই সময় তারা একে অপরের কাছাকাছি এসে ঘনিষ্ঠ হন এবং দুজনেই প্রেমে পড়েন।

২০১০ সালে পাকিস্তানি বাঁহাতি ফাস্ট বোলারের বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। ম্যাচ ফিক্সিং এ অভিযুক্ত থাকায় পাঁচ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। প্রায় দেড় বছর জেলে থাকতে হয়েছিল তাকে। ২০১৬ সালে তার প্রেমিকা নারজিস খানকে বিয়ে করেছিলেন।

এরপর মোহাম্মদ আমির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেও পাকিস্তানের ক্রিকেটে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কারণে ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন। খবরে এও শোনা গিয়েছে যে তিনি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়ে আইপিএল খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মোহাম্মদ আমির পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের একজন দুর্দান্ত ফাস্ট বোলার ছিলেন। নির্বাসন কাটিয়ে আসার পর তিনি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন ব্যাটসম্যানদের কাছে। তিনি ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা ছাড়াও ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার অন্যতম সেরা কারিগর ছিলেন।