Hanumanji: হনুমানজি যিনি আমাদের কাছে বজরংবলী, মহাবীর, অঞ্জনীপুত্র, কেশরীনন্দন নামেও পরিচিত। তার আরাধনা করলে জীবনের সকল কষ্ট দূর হয় এবং সুখ শান্তি পাওয়া যায়। আপনার ঘরে যদি নেতিবাচকতার প্রভাব পড়ে তাহলে হনুমানজির পূজা করা উচিত। এছাড়া প্রতি মঙ্গলবার ভগবান হনুমানের পূজা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এইদিন আপনি হনুমান চল্লিশা পাঠ করে বজরংবলীকে খুশি করতে পারেন।
রামায়ণের কাহিনী অনুসারে, আপনি নিশ্চয় জানেন যে হনুমানজি রামের সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন। তিনি সর্বদা রামের ভক্তিতে মগ্ন থাকতেন। ভগবান রামের প্রতি নিঃস্বার্থ একটি ঘটনাও পৌরাণিক কাহিনীতে বর্ণিত রয়েছে। আপনি কি জানেন, হনুমানজি তার বুক চিরে ভগবান রাম ও সীতা মাকে দেখিয়েছিলেন।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান শ্রী রামের যখন রাজ্যভিষেক হয়েছিল তখন ওই রাজ্যের প্রতিটি প্রজাকে উপহার দেওয়া হয়। একইভাবে মা সীতা হনুমানকে একটি মূল্যবান রত্ন উপহার দিয়েছিলেন, যা দেখে খুব খুশি হন। কিন্তু একটু দূরে গিয়ে সেই মূল্যবান উপহারটি ভেঙে ফেলেন। যা দেখে সকলেই হতবাক হয়ে যান।
হনুমানের এই কর্মকান্ড দেখে লক্ষণ অত্যন্ত রেগে যান এবং একে রামের প্রতি অপমান বলে মনে করেন। এই বিষয় তিনি হনুমানকে জিজ্ঞাসা করেন কেন তিনি এই মূল্যবান রত্নটি ভেঙে ফেললেন? এর উত্তরে হনুমান জি বলেন, আমার কাছে সবই অকেজো যেখানে রামের নাম লেখা নেই। শ্রী রাম নাম ছাড়া কোন কিছুই মূল্যবান হতে পারে না, আমার মতে তা বর্জন করা উচিত।
লক্ষণজি বলেন, তোমার শরীরেও তো রাম নাম লেখা নেই, তাহলে এই শরীর রাখলেন কেন? এই দেহও ত্যাগ করুন। এই কথা শুনে হনুমান তার বুক চিরে দেখালেন যেখানে শ্রীরাম ও সীতা মাতার একটি সুন্দর ছবি দেখা গেল। এটা দেখে সকলেই অবাক হন। এরপর লক্ষণও তার ভুল বুঝতে পেরে হনুমানজির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।