রেল লাইনের পাশে থাকা এই বক্সগুলি বাঁচিয়ে দেয় শত শত মানুষের প্রাণ! এর কী কাজ জানলে অবাক হবেন

রেল ট্রাকের পাশে থাকা এই অ্যালুমিনিয়ামের বক্সটিকে বলা হয় ‘অ্যাক্সেল কাউন্টার বক্স’

Indian Railways: ট্রেনে ভ্রমণের সময় আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন রেল ট্রাকের পাশেই কিছুদূর অন্তর অন্তর অ্যালুমিনিয়ামের বক্স দেখে থাকবেন। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে এই অ্যালুমিনিয়াম বক্সটির কাজ কি বা এটি কেন স্থাপন করা হয়। প্রথমেই জানিয়ে রাখি, রেল যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়ে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

রেললাইনের প্রতি ৩ থেকে ৫ কিলোমিটারের নির্দিষ্ট একটি দূরত্বে দেখতে পাওয়া যায় অ্যালুমিনিয়ামের এই বক্সটিকে। এটি আসলে যাত্রী সুরক্ষার কাজেই ব্যবহৃত হয়। রেলের ভাষায় এটিকে “অ্যাক্সেল কাউন্টার বক্স” (Axle Counter Box) বলা হয়। এই বক্সের ভেতরে থাকে একটি স্টোরেজ ডিভাইস। যেটি সংযুক্ত থাকে রেল ট্র্যাকের সাথে।

Image

আসলে অ্যাক্সেলের মাধ্যমেই ট্রেনের চাকাগুলি সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ এই বক্স সরাসরি ট্রেনের চাকা গুনতেও সক্ষম। যার ফলে, যাত্রা শুরুর সময় ট্রেনটি যে সংখ্যক চাকা নিয়ে বেরিয়েছে ঠিক সেই সংখ্যক চাকা নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর রয়েছে কিনা সেটিও গণনা করে বক্সটি। ফলে, এড়ানো সম্ভব হয় বড়ো দুর্ঘটনাও।

আবার কখনও দুর্ঘটনার কারণে যখন ট্রেনের একটি বা দু’টি বগি আলাদা হয়ে যায় তখন এই “অ্যাক্সেল কাউন্টার বক্স” সহজেই গণনা করে জানিয়ে দেয় যে, স্টেশন থেকে বেরোনোর সময় ট্রেনে সমস্ত বগি থাকলেও দুর্ঘটনার ফলে সেই সংখ্যায় হেরফের ঘটেছে। যার ফলে দ্রুত দুর্ঘটনার খবর পৌঁছে যায় রেলের কাছে।

Image

সেই কারণেই বক্সগুলিকে বসানো হয় যাতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলিকে যেখান থেকে আলাদা করা হয়েছে সেই জায়গাটিকেও সনাক্ত করা যায়। যখন কোনো ট্রেন অ্যাক্সেল কাউন্টার বক্সের সামনে দিয়ে যায় ঠিক তখনই ওই ট্রেনের এক্সেল সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য বক্সে রেকর্ড হয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে তা পৌঁছে যায় তার পরবর্তী বক্সে।

যখন, পূর্ববর্তী বক্সের সাথে পরবর্তী বক্সের সংখ্যা মেলেনা তখন সামনের “অ্যাক্সেল কাউন্টার বক্স” স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেনের সিগন্যাল “লাল” করে দেয়। যার ফলে চালক ট্রেন থামিয়ে সতর্ক হয়ে যান। ফলে এই বক্সগুলিই বাঁচিয়ে দেয় লক্ষ লক্ষ যাত্রীর প্রাণ! তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এই বক্সটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।