২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিযানটা এভাবে শুরু হবে এমনটা কল্পনাও করতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ভারতীয় দল এতদিন অপরাজেয় ছিল, কিন্তু এবার তাদের বিরুদ্ধেই ১০ উইকেটে পরাজিত হতে হলো। প্রথমত টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে বাধ্য হওয়া। এরপর ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা। বিরাট কোহলি অর্ধশত রান করলেও পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম ও রিজওয়ানের দলকে ঐতিহাসিক জয় দিতে কোন সমস্যাই হয়নি।
তবে পরবর্তী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলকে ঘুরে দাঁড়াতে কয়েকটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আজকের প্রতিবেদনে, ভারতীয় দলের ২ জন খেলোয়াড়ের পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। এবার সে বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১) ভুবনেশ্বরের জায়গায় শার্দুল ঠাকুর:
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এর পক্ষ থেকে ভুবনেশ্বর কুমারকে একাদশে সুযোগ দেওয়ার মূল কারণ ছিল তিনি একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তার আইপিএলের ব্যর্থতা অবধারিত রইল। ফর্মে না থাকা ভুবির প্রথম ওভারেই দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পাকিস্তানি দল রানের গতি বাড়িয়ে নেয়। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩ ওভারে ২৫ রান দেন। তার পারফরম্যান্স নিয়ে কেউই সন্তুষ্ট নন।
অতএব, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার পরিবর্তে ভারতীয় দলে শার্দুল ঠাকুরকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। শার্দুল ঠাকুর সম্প্রতিকালে মাঝের ওভার গুলিতে তার বলেন দক্ষতা গড়ে তুলেছেন। এমনকি ব্যাট হাতেও তিনি যথেষ্ট কার্যকরী। সদ্যসমাপ্ত আইপিএলে সিএসকে দলের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটও পেয়েছিলেন তিনি। তবে ভারতীয় দল যদি অতিরিক্ত স্পিনানের খেলানোর কথা ভাবে তাহলে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের কথা ভাবতে পারে।
২) হার্দিক এর জায়গায় ঈশান কিষান:
প্রস্তুতি ম্যাচে দুরন্ত ফর্মে দেখা গেছে ঈশান কিষানকে। যেহেতু হার্দিক পান্ডিয়া ভালো ব্যাটিং ফর্মে নেই, এমনকি বলও করছে না। তাই ভারতীয় দল তার পরিবর্তে এমন খেলোয়াড় নিয়ে আসতে পারে, যা দলকে আরও বেশি কিছু দিতে পারে। ঈশান কিষান তার পছন্দের ওপেনিং পজিশন নাও পেতে পারেন কিন্তু যখনই তিনি ক্রিজে আসবেন তখন ঝড়ো ইনিংস খেলার লাইসেন্স নিয়েই মাঠে নামবেন।
ঈশান কিষান একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বিশেষ করে কিউই দলের মিচেল স্যান্টনারের বিরুদ্ধে সহায়ক হবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে যেমন ভারতীয় দল দ্রুত দুটি উইকেট হারায়। সেক্ষেত্রে বিরাট কোহলি এমন পরিস্থিতিতে ঈশান কিষানকে ব্যবহার করতে পারে। যেহেতু তিনি শুরুতেই ব্যাটিং করতে অভ্যস্ত।