যে কলম দিয়ে এই ৪ ভারতীয় খেলোয়াড়ের ভাগ্য লেখা হয়েছে, তাতে সম্ভবত কালি নেই

বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেট দলের রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়েও একটা শক্তিশালী দল গঠন করা যেতে পারে। তাহলে ভাবতেই পারছেন মেইন একাদশে জায়গা করা কথাটা কঠিন। তবে কিছু খেলোয়াড় বাজে পারফরম্যান্স করা সত্ত্বেও বারবার সুযোগ পাচ্ছেন। এদিকে সঞ্জু স্যামসানের মত বেশ কিছু খেলোয়াড় ক্রমাগত উপেক্ষিত হচ্ছেন। তবে তিনি কেবল একা নন, এই প্রতিবেদনে আরও ৪ খেলোয়াড়ের কথা বলা হয়েছে।

□ পৃথ্বী শ:

কনিষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন পৃথ্বী শ। এরপর ডোপিং কেসে ধরা পড়লে তার ক্যারিয়ার প্রায় শেষ হয়ে যায়। আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে  দুর্দান্ত ফর্ম পারফরম্যান্স করা সত্ত্বেও জাতীয় দলে বারবার কড়া নাড়তে ব্যর্থ হচ্ছেন। পৃথ্বী ৬৩ আইপিএল ম্যাচে ১৪৭ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ১৫৮৮ রান করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ১২টি হাফসেঞ্চুরি এবং সর্বোচ্চ ৯৯ রান।

□ রাহুল ত্রিপাঠী:

ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলে প্রচুর রান করা সত্ত্বেও রাহুল ত্রিপাঠিকে ক্রমাগত উপেক্ষা করছে বিসিসিআই। ৩১ বছর বয়সী রাহুল ত্রিপাঠী ভারতীয় দলে নির্বাচিত হয়েছিলেন কিন্তু কখনোই একাদশে সুযোগ পাননি। ত্রিপাঠি ৭৬ আইপিএল ম্যাচে ১৪০.৮ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ১৭৯৮ রান করেছেন।

□ সঞ্জু স্যামসান:

২০১৫ সালে সঞ্জু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক করেছিলেন কিন্তু একাদশে খেলার জন্য দীর্ঘ ৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এই পর্যন্ত তিনি ভারতের হয়ে ১৬ টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তিনি ১৩৫ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ২৯৬ রান করেছেন। এ সত্ত্বেও বেশিরভাগ ম্যাচেই তাকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে।

□ কুলদীপ যাদব:

একটা সময় কুলদীপ যাদব ভারতীয় দলের প্রধান বোলার হিসেবে বিবেচিত হতেন, কিন্তু এখন তিনি একাদশে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। কুলদীপ যাদব কে শুধুমাত্র সেই সময়ই একাদশে খেলানো হয় যখন কোন খেলোয়াড় চোট পান বা বিশ্রাম নেয়। ২৭ বছর বয়সী কুলদীপ যাদব ভারতের হয়ে ৭টি টেস্ট, ৭২ টি ওয়ানডে এবং ২৫ টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।