আন্ডারওয়ার্ল্ডের ভয়ে যখন গোটা বলিউড জড়োসড়ো, সেই সময় পাল্টা হুমকি দিতেন সুনীল শেট্টি

হুমকির পাল্টা হুমকি! অন্ধকার জগত নিয়ে বলিপাড়ার উল্টো পথে হাঁটতেন সুনীল শেট্টি

৯০-র দশকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের (Underworld) দাবদাহে বলিউড (Bollywood) প্রায় অন্ধকার জগতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে টি-সিরিজের (T-series) কর্ণধার গুলশন কুমারের মৃত্যুর পর তারকারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এমনকি মুম্বাই পুলিশও তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তিত হয়। কিন্তু সেইসময় একমাত্র সুনীল শেট্টিকে (Suniel Shetty) দেখা যায় এক অন্যরূপে।

যেখানে সুনীল উল্টে আন্ডারওয়ার্ল্ডের লোকেদের দিতেন হুমকির পাল্টা হুমকি! কিন্ত কেমন করে! সুনীল এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন, আসলে ৯০ দশকে অভিনেতার কাছে অন্ধকার জগৎ থেকে প্রচুর ফোন আসত। তা সত্ত্বেও মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হননি।

সুনীলকে অসংখ্যবার ফোনের মাধ্যমে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে কিন্তু সুনীল কখন এ বিষয়ে পুলিশের নিরাপত্তা চাননি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ফোনের ও পার থেকে মাঝেমধ্যেই আমাকে বলা হত যে তাঁরা আমার সঙ্গে কী কী করবেন। আমাকে হুমকি দিলেই আমিও পাল্টা তাঁদের গালিগালাজ করতাম।’

সুনীল যে অন্ধকারজগতের লোকজনকে হুমকি দিতেন সে কথা জানত মুম্বই পুলিশ। বরং সুনীলকে ঝামেলায় না জড়ানোর পরামর্শ দিতেন পুলিশ আধিকারিকেরা। সুনীল পাল্টা উত্তরে বলতেন, ‘আমি তো কোনও দোষ করিনি। তা হলে অযথা তাঁদের ভয় পেতে যাব কেন?’

সুনীল বলেন, ‘আমার শৈশব যেখানে কেটেছিল সেখানে অন্ধকারজগতের ঠেক প্রবল ছিল। চোখের সামনে কয়েকটি দলকে তৈরি হতে দেখেছি আমি। তাই ওদের কী ভাবে সামলাতে হয় তার একটা স্পষ্ট ধারণা আমার আগা গোড়াই ছিল।’

সুনীলের দাবি, তাঁর বাবা ইচ্ছা করলেই ওই জায়গায় থাকতে পারতেন। কিন্তু সন্তানদের কথা চিন্তা করে সুনীলের বাবা বাসস্থান বদলানোর সিদ্ধান্ত নেন। মুম্বইয়ের মধ্যে এমন একটি জায়গা বেছে নিয়েছিলেন যেখানে ভাল স্কুল-কলেজ রয়েছে। এমন পরিবেশে ছেলেমেয়েদের বড় করলে তাঁরা মানুষ হয়ে উঠবে বলে মনে করতেন সুনীলের বাবা।