১৯৯৯ সালে ভারতীয় দলে অজয় জাদেজার নেতৃত্বে অভিষেক হয়েছিল বীরেন্দ্র সেহবাগ এর। তারপর দাদার হাত ধরেই এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ওপেনিং করার সুযোগ পায়। এরপরে তিনি সারা বিশ্বে একজন বিধ্বংসী ওপেনার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটে মোট ১৬ হাজারের বেশি রান করেছেন। যে সকল ব্যাটসম্যানরা ওপেন করতে নেমে প্রথম বলটি ডিফেন্স করতেন আর বীরেন্দ্র শেবাগ পুরো উল্টো ছিলেন, প্রথম বলটিকে বাউন্ডারি মারার ধান্দা করতেন। এই নিয়ে তিনি তার ক্যারিয়ারে মোট ২০ বার প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন।
যেহেতু সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে ওপেনিং করিয়ে সারাবিশ্বে তার নাম ছড়িয়ে ছিল তাই আজও বীরেন্দ্র শেবাগ দাদার কৃতজ্ঞতা এতোটুকু ভুলে যায়নি। বারবার তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কিভাবে একজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বিধ্বংসী ওপেনার ব্যাটসম্যান হয়ে গেল! তখন তিনি সবসময় সৌরভ গাঙ্গুলীর কথাই বলেছেন তাদের। একটা সময় ছিল যখন ভারতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের অভাব ছিল না। তাই বীরেন্দ্র শেবাগ সুযোগ না পাওয়ায় তাকে ওপেনিং করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
আরও পড়ুনঃ বীরেন্দ্র সেহবাগকে টেস্টে ওপেন করতে পাঠিয়ে সৌরভ দিয়েছিলেন “সুপার টিপস”
যদিও বীরেন্দ্র শেবাগ ওপেনিং করতে প্রথমদিকে ভয় পেয়েছিলো কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলী তার মনে এতটা সাহস যুগিয়েছিল যে তিনি আর দাদার কথা শুনে না করতে পারেনি। সেই ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন যে সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে বলেছিলেন তুমি যদি ওপেন করতে ব্যর্থ হও তাও তোমাকে খেলানো হবে। এটা ছিল তার পক্ষে একটা ভয়হীন চিকিৎসার মত। এই সুবর্ণ সুযোগে বীরেন্দ্র শেবাগ দেখাতে চেয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী যতটা তার প্রতি ভরসা করে ঠিক ততটাই দলের জন্য কিছু করে দেখাতে। হ্যাঁ তিনি একজন ভরসাযোগ্য ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ টেস্ট সিরিজ হেরে যাওয়ায় অতি হাস্যকর কারণ দেখালেন ফাফ দু প্লেসি
এখন সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হয়েছেন যেখানে সকল ক্রিকেটাররা দাদাকে শুভেচ্ছায় ভরে তুলেছেন সেই সাথে বীরেন্দ্র শেবাগ ও একটি সুন্দর করে টুইট করেছিলেন। সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বীরেন্দ্র শেবাগ মুখোমুখি হয়েছিল এবং জানিয়েছেন তিনি একটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলীর নামে যা আজ পুরোপুরিভাবে সফল হয়েছে তিনি তা ভাবতেও পারেনি।
সময়টা ছিল ২০০৭ সাল আজ থেকে ১২ বছর আগে বীরেন্দ্র শেবাগ ২টি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তারমধ্যে একটি মিলে গেছে সেটা হল সৌরভ গাঙ্গুলীর বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হওয়া। সেই সাথে আরেকটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন দাদা অদূর ভবিষ্যতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদে বসবেন। যদিও বীরেন্দ্র শেবাগের করা একটি ভবিষ্যৎ বাণী মিলে গেছে কিন্তু অন্যটি মিলবে কিনা সেটা সময় বলবে।