আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগে ভারতীয় ক্রিকেটকে নতুন করে সাজিয়ে তুলেছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। একটা পুরোপুরি ভাঙাচোরা টিমকে জোড়া লাগিয়ে ছিলেন এই বাংলার মহারাজ। আনকোরা কিছু খেলোয়াড় যেমন বীরেন্দ্র সেহবাগ, যুবরাজ সিং, জাহির খান, ভিভিএস লক্ষণ এদেরকে সাথে করে নিয়ে বানিয়েছিলেন একটি শক্তিশালী দল আর সেই সাথে ছিল অন্যতম সেরা খেলোয়াড় রাহুল দ্রাবিড় এবং শচীন তেন্ডুলকর।
সেবার ২০০১ সালে প্রথম অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল টেস্ট সিরিজে। এরপর ২০০২ সাল ইংল্যান্ডের মাটিতে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতা এবং ২০০৩ সালের সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। আর আজ দাদা প্রেসিডেন্টের পথে বসে প্রতিজ্ঞা করেছেন যেভাবে তিনি তাঁর দলকে নেতৃত্ব দিতেন সেভাবেই এখন ভারতীয় ক্রিকেটকে নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন।
তবে এর মাঝেই ফাঁস করলেন বীরেন্দ্র সেহবাগ, সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে ওপেন করতে পাঠিয়ে কোন পরামর্শ দিয়েছিলেন। আর তার পরেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটের তাবড় তাবড় বোলারদের ঘুম হারানো আক্রমণাত্মক ওপেনিং ব্যাটসম্যান। ১৯৯৯ সালে ভারতীয় দলের টেস্ট আত্মপ্রকাশ ঘটে। তখন দলের অধিনায়ক ছিলেন অজয় জাদেজা, তখন ভীরু একজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন কিন্তু ভারতীয় টেস্ট দলে তার জন্য কোনো সুযোগ ছিল না কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলী থেকে চেয়ে ছিলেন টেস্টে ওপেন করাতে।
আরও পড়ুনঃ টেস্ট সিরিজ হেরে যাওয়ায় অতি হাস্যকর কারণ দেখালেন ফাফ দু প্লেসি
বীরেন্দ্র সেহবাগ প্রায়ই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল কিভাবে একজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ওপেনার হয়ে উঠলেন। কীভাবে তিনি টেস্টের ওপেনার হিসেবে সুযোগ পেলেন সেকথায় ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যেহেতু টেস্ট দলে তখন মিডল অর্ডারে ভরপুর ব্যাটসম্যান ছিল সেইজন্য তার একমাত্র স্থান ছিল ওপেনার হিসেবে ব্যাট করা। আর যদি ওপেন না করি তাহলে মিডল অর্ডারে কেউ একজন চোট না পাওয়া পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হবে। এমনকি সৌরভ গাঙ্গুলি তাকে বলেছিল যদি ব্যর্থ হয় তাও তাকে টেস্ট খেলিয়ে যাবে। এই কারণে টেস্টে ওপেন করার জন্য রাজি হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ কয়লা খনির শ্রমিকের ছেলে থেকে জাতীয় দলের পেসার উমেশ যাদবের গল্প
তারপর থেকে বীরেন্দ্র শেবাগ ওপেনার হিসেবে নিজেকে ওপেনার হিসেবে নিয়োগ করেন। টেস্টে ৮৫৮৬ রান ও একদিনের ম্যাচে ৭৫১৮ রান করেছেন। সৌরভ গাঙ্গুলী প্রসঙ্গ তুলে বীরেন্দ্র শেবাগ বলেছেন, “দাদা যে সুযোগটা করে দিয়েছিল তা ছিল একটা ভয়হীন চিকিৎসা। একজন অধিনায়ক এর উপর এইধরনের আত্মবিশ্বাস রাখা প্রবল ভরসা যুগিয়েছিল। আর ভেবেছিলাম দাদা যখন আমার উপরে এতটাই ভরসা রেখেছে তাহলে চেষ্টা করে দেখা যাক না কেন। যা কিছু হয়েছি আমি তা সবই দাদার জন্যই।”