একসময় কৃষক হতে চেয়েছিলেন, বর্তমানে তারকা ক্রিকেটার, চিনতে পারছেন এই ক্ষুদেকে

ছবিতে থাকা এই ক্ষুদে ক্রিকেটারকে চিনতে পেরেছেন

ভারতীয় ক্রিকেট তারকাদের কার্যত ভগবানের আসনে বসানো হয়। এদেশে ক্রিকেট নিয়ে যতটা কৌতুহল ও উচ্ছাস ফ্যানেদের থাকে, আপনি বিশ্বের আর কোথাও এমনটা খুঁজে পাবেন না। তবে ফ্যানেরা এতেই খুশি নয়, প্রিয় ক্রিকেটারদের শৈশব থেকে বড় হওয়া, ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে নানান অজানা কথা জানার চেষ্টা করেন।

Image

এই প্রতিবেদনে তেমনি একজন ক্রিকেটারের শৈশবের অদেখা ছবি নিয়ে আসা হয়েছে, যিনি গত বছর ধরে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। ২০২৩ আইপিএলে তিনটি সেঞ্চুরি সহ সর্বোচ্চ রান করেছেন তিনি। এখানে গুজরাট টাইটান্স এর ওপেনার তথা ভারতীয় ক্রিকেটার শুভমান গিলের (Shubman Gill) কথা বলা হয়েছে।

Image

শুভমান গিল ১৯৯৯ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাবের ফাজিলকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেখানেই তার প্রাথমিক স্কুল জীবন শেষ করেন এবং শৈশব থেকেই তার ক্রিকেট অন্ত প্রাণ ছিল। শচীন টেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়ের মত কিংবদন্তিদের নিজের আদর্শ মনে করতেন। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক।

Image

শুভমানের বাবা ছেলের ক্রিকেট অনুশীলনের জন্য তার খামারে একটি মাঠ তৈরি করেছিলেন। এমনকি একটি পিচও তৈরি করেছিলেন। তার বাবা গ্রামের ছেলেদের উইকেট নেওয়ার চ্যালেঞ্জ দিতেন এবং তারা সফল হলে তিনি তাদের ১০০ টাকা করে পুরস্কার দিতেন। এভাবেই গ্রামের ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলে বেড়ে ওঠেন শুভমান।

Image

এদিকে শুভমনের বাবাও একজন পেশাদার ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে শুভমন গিলের বাবা বলেছিলেন, ‘তার ছেলে শৈশবে কৃষিকাজে আগ্রহী ছিল এবং সেও কৃষক হতে চেয়েছিল।’ শুভমন খুবই অল্প বয়স থেকেই ক্রিকেটের প্রতি এতটাই আসক্ত ছিলেন যে তার বাবা তাকে পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন একাডেমিতে ভর্তি করে দেন।

Image

শুভমন পাঞ্জাবের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেটে অভিষেক করেন এবং বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে তিনি ডাবল সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন। ২০১৪ সালে পাঞ্জাবের অনূর্ধ্ব-১৬ প্রতিযোগিতায় একটি ম্যাচে একাই ৩৫১ রান করেছিলেন। এরপর ভারতের হয়ে ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেন এবং সে বছর ভারতীয় দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে বিশেষ ভূমিকা ছিল তার।

বর্তমানে ২৩ বছর বয়সী শুভমান গিল ভারতের হয়ে ওডিআই ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করার রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন। এবার ২০২৩ আইপিএলেও তাকে স্বপ্নের ফর্মে দেখা গেছে। ১৭ ম্যাচে ৫৯.৩৩ গড়ে ৮৯০ রান করেছেন ও তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩টি সেঞ্চুরি ও ৪টি হাফ সেঞ্চুরি। ফাইনালে জিততে না পারলেও আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে দেশের হয়ে বড় রান করাই লক্ষ্য হবে তার।