একজন ক্রিকেটারের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন না থাকলেও কিছু ভারতীয় ক্রিকেটার রয়েছেন যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে বড় বড় সংস্থায় যুক্ত হতে পারতেন। তবে ক্রিকেটের প্রতি আবেগ ও ভালোবাসা জেরে শেষ পর্যন্ত নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে ক্রিকেটকেই বেছে নিয়েছেন। সম্প্রতি তেমনই এক ভারতীয় ক্রিকেটারের পরিচয় পাওয়া গেছে।
এই প্রতিবেদনে যে ভারতীয় ক্রিকেটারের কথা বলা হয়েছে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে অনায়াসে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসায় কিংবা ভারতের ইসরো-র মতো বড় বড় সংস্থায় চাকরি করতে পারতেন। তিনি আর কেউ নন, ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার আবিষ্কার সালভি। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়।
মুম্বাইয়ের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দীর্ঘদিন খেললেও সালভিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি দিন দেখা যায়নি। তিনি নীল জার্সি গায়ে মাত্র ৪টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এবং তার ঝুলিতে রয়েছে ৪টি উইকেট জানা যায় একটি গুরুতর চোটের কারণে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। এরপরও তাকে আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলতে দেখা গেছে। তিনি ৭ ম্যাচে মোট ৭টি উইকেট নেন।
এবার আসা যাক আসল কথায়, আবিষ্কার সালভির শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা বললে তিনি অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে পিএইচডি করেছেন। এই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অনেকেই নাসা বা ইসরো-র মতো নামিদামি সংস্থায় চাকরি করেন। কিন্তু তিনি গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে এসে বরং মাঠের বাইশ গজকেই বেছে নিয়েছিলেন।
আবিষ্কার সালভির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বহুবার ক্রিকেট মাঠে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল। তবে তিনি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ভারতীয় খেলোয়াড় বড় বড় ডিগ্রী অর্জন করেছেন। প্রাক্তন অধিনায়ক অনিল কুম্বলে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ডিগ্রী অর্জন করেন, বর্তমান ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় এমবিএ করেছেন, এদিকে ভিভিএস লক্ষ্মণ (এমবিবিএস) ডাক্তারি ছেড়ে ক্রিকেটকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন।