২০০৮ সালের উদ্বোধনী আইপিএল মরসুমে বহু পাকিস্তানি ক্রিকেটার ভিন্ন ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে খেলেছিলেন। তবে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা চিরতরে আইপিএল থেকে নিষিদ্ধ হয়ে যায়। সেবার শোয়েব আখতার সহ মোট ১১ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার আইপিএল খেলেন।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। গ্রুপ পর্বের একটিও ম্যাচে পরাজিত না হয়ে সেমিফাইনালে ওঠে। কিন্তু সেমিফাইনালে বড় অঘটন ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে পাকিরা। কিছুদিন পরেই আইপিএলের বড় নিলামের আসর, কিন্তু পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আর কখনোই দেখা যাবে না আইপিএল খেলতে।
ধরে নেওয়া যাক, পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলার অনুমতি পেল তাহলে বর্তমান পাক দলের এই পাঁচ ক্রিকেটারকে নিয়ে আইপিএল নিলামে কাড়াকাড়ি হত। এবার দেখে নেয়া যাক কোন সেই ৫ খেলোয়াড়:-
১) বাবর আজম:
সবথেকে বেশি পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে নিলামে দরকষাকষি হত। কোন দলই তাকে হাতছাড়া করতে চাইবে না। গত পাঁচ বছর ধরে ভাল পারফরম্যান্স করে আসছেন। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যান তিনি। এমনকি ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দলকে জিতিয়ে ছিলেন।
২) মোহাম্মদ রিজওয়ান:
পাকিস্তানি দলের বর্তমান উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানও কোনও দিক দিয়ে কম নয়। আইপিএল নিলামে প্রচুর টাকার দর উঠত তার। গত দুই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে রান করে আসছেন এই ব্যাটসম্যান। চলতি বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনিই। ভারতের বিপক্ষে বাবরের সাথে ওপেনিং জুটিতে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জেতান।
৩) শাহীন আফ্রীদি:
পাকিস্তানের বাঁহাতি ফাস্ট বোলার শাহীন আফ্রীদি ঘন্টায় ১৪০ কিমি বেগে বোলিং করার ক্ষমতা রাখেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে শুরুতেই তিনি রোহিত শর্মা ও কে এল রাহুল কে ফিরিয়ে দিয়ে চাপে ফেলেছিলেন। এরপর বিরাট কোহলিও তার বলেই আউট হন। আইপিএল নিলামে তার নাম উঠলে অনেক টাকায় বিক্রি হতেন।
৪) শাদাব খান:
পাকিস্তানি দলের দুর্দান্ত অলরাউন্ডার শাদাব খান ব্যাটিং ও বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই সমান পারদর্শী তিনি। দলের প্রয়োজনে রান করেন এবং উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তার। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে একাই ম্যাচ জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, দুর্ভাগ্যবশত তার এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ৯টি উইকেট নিয়েছেন। হয়তো আইপিএল নিলামেও তাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যেত।
৫) আসিফ আলি:
আজকাল টি-টোয়েন্টিতে একজন ফিনিশার যে কোনো দলই চাইবে। সেই ভূমিকায় এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবতীর্ণ হয়েছেন আসিফ আলি। নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে তার ঝড়ো ইনিংসে পাকিস্তান দল জয় পেয়েছিল। তার ব্যাট থেকে ওই দুটি ইনিংস না এলে পাকিস্তান ম্যাচ দুটিই হেরে যেত।