ভারতীয় ক্রিকেট দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে বিদায় নিয়েছে। এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই বিরাট কোহলিদের ফেভারিট হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। তবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর শেষ চারে জায়গা করতে ভারতীয় দলের আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
আজকের প্রতিবেদনে এমন ৫ ভারতীয় ক্রিকেটারের কথা বলা হয়েছে যারা ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন, এবার তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
১) ভুবনেশ্বর কুমার:
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভুবনেশ্বর কুমার প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। গত কয়েক বছর তিনি বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে ভুগছেন, তবুও টিম মানেজমেন্ট তাকে অভিজ্ঞতার কারণে বেছে নিয়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভুবির বোলিং পারফরম্যান্স হতাশাজনক ছিল। শুরু থেকেই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের রোষানলে পড়ে ব্যর্থ হোম। এরপর তিনি আর কোনও ম্যাচে সুযোগ পাননি।
২) বরুণ চক্রবর্তী:
আইপিএলের দুটি মরশুমে দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের (৩৫ উইকেট) কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেছে নেয়া হয়েছিল মিস্টেরিয়াস স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে। বৈচিত্রহীন বোলিংয়ের কারণে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পুরোপুরি ব্যর্থ হন। তিনটি ম্যাচে বোলিং করার সুযোগ পেলেও উইকেটহীন থাকেন বরুণ।
৩) শার্দুল ঠাকুর:
বিশ্বকাপের আগে অক্ষর প্যাটেলের জায়গায় সুযোগ পান শার্দুল ঠাকুর। এই ফাস্ট বোলার দুটি ম্যাচ খেলেন এবং তার বোলিং পারফরম্যান্স দুটিই হতাশাজনক ছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ওভারে ১৭ রান দিয়েছিলেন এবং এরপরের ম্যাচেও কোন প্রভাব ফেলতে পারেননি। সম্ভবত এই কারনেই আসন্ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাদ পড়েছেন।
৪) ঈশান কিষান:
পাকিস্তানের বিপক্ষে রোহিত শর্মা ব্যর্থ হলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনার হিসেবে ঈশান কিষানকে পাঠানো হয়েছিল। প্রস্তুতি ম্যাচে তার ব্যাট থেকে রানের বন্যা বইলেও ওই মরণ-বাঁচন ম্যাচে দলকে ভালো শুরু দিতে ব্যর্থ হন। তিনি ৮ বলে একটি বাউন্ডারি সাহায্যে মাত্র ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর রোহিত শর্মা ফর্মে ফিরলে তিনি আর সুযোগ পাননি।
৫) রাহুল চাহার:
বরুণ চক্রবর্তী ব্যর্থ হলে নামিবিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে খেলেছিলেন রাহুল চাহার। যুজবেন্দ্র চাহালের পরিবর্তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া রাহুল চাহারের বলে নামিবিয়ার ব্যাটসম্যানদের মোকাবিলা করা কঠিন হবে বলে প্রত্যাশা ছিল। যাইহোক, তিনিও বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেননি এবং উইকেটহীন থাকেন। একটি সুযোগ পেয়েও তিনি তার দক্ষতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন।