পাকিস্তানের দখলে রয়েছে এই ৫টি রেকর্ড; যা অন্য দলের পক্ষে ভাঙ্গা খুবই কঠিন

নব্বই দশকে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়া এত সহজ ছিল না। ১৯৯২ সালে বিশ্বজয়ী দলের সামনে ভারতও বারবার পরাজিত হয়েছে। তাদের প্রধান অস্ত্র ছিল বোলিং, ব্যাটিংয়েও খারাপ ছিল না। তবে পাকিস্তানের বর্তমান ক্রিকেট দলের অবস্থা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এবার জেনে নেওয়া যাক পাকিস্তানি ক্রিকেটের দখলে থাকা সেই পাঁচটি রেকর্ডের সম্পর্কে যা অন্য দলের পক্ষে ভাঙ্গা কঠিন: 

১) ক্রিজে দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকা:

১৯৫৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচে হানিফ মোহাম্মদ ৯৭০ মিনিট ক্রিজে টিকে ছিলেন – যা এটি একটি বিশ্বরেকর্ড এবং গত ৬০ বছরেও কেউ ভাঙতে পারেনি। এই সময় তিনি ৩৩৭ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেছিলেন। 

২) একটি টেস্টে সর্বাধিক ছক্কা:

ওয়াসিম আক্রম সুইং বোলিংয়ের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু তিনি ব্যাট হাতেও কার্যকরী ছিলেন। ১৯৯৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি টেস্ট ইনিংসে ১২টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত কেউ এই রেকর্ডটি ভাঙতে পারেনি। প্রসঙ্গত, ওই ইনিংসে আক্রম ২৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

৩) প্রথম ইনিংসেই দ্রুততম শতরান: 

১৯৯৬ সালে শাহিদ আফ্রিদি তার দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকার বিপক্ষে মাত্র ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। পরবর্তীকালে তা কোরি অ্যান্ডারসন (৩৬ বল) এবং এরপর এবি ডি ভিলিয়ার্স (৩১ বল) ভেঙে দেন। তবুও আফ্রিদির সেঞ্চুরিটিকেই সেরা বলা চলে কারণ এটিই ছিল তার প্রথম ওয়ানডে ইনিংস।

৪) দ্রুতগতির বোলিং রেকর্ড:

বিশ্ব ক্রিকেটের দ্রুততম বোলার হিসাবে পরিচিত শোয়েব আখতার। এই প্রাক্তন ফাস্ট বোলার ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন – যা একটি বিশ্ব রেকর্ড। আজ অবধি কোনও বোলার এই গতিতে বোলিং করেন নি। 

৫) এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সর্বাধিক রান:

মোহাম্মদ ইউসুফ তাঁর সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। ২০০৬ সালে (এক ক্যালেন্ডার বর্ষে) সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান হন। পরিসংখ্যানের কথা বললে, ওই বছরে তিনি ১১ টেস্টে ৯৯.৮৩ গড়ে ১৭৮৮ রান করেন। এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যাটসম্যান এক ক্যালেন্ডার বর্ষে এত রান করতে পারেন নি।