সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে অরবিন্দ স্বামী (Arvind Swamy) অন্যতম, যাকে একসময় রজনীকান্ত ও কামাল হাসানের উত্তরসূরী বলা হত। ৯০ দশকের অনেক সুপারহিট ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। শুধু দক্ষিণী নয়, প্রায় সব ভাষাতেই অভিনয় করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। অরবিন্দর ক্যারিয়ার যখন মধ্য গগনে তখন পারিবারিক ব্যবসা সামলানোর জন্য অভিনয় জগতকে বিদায় জানিয়েছিলেন।
অরবিন্দ স্বামী ১৯৯১ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে মনিরত্নম-র পরিচালনায় ‘স্থলপতি’ (Sthalpati) ছবিতে রজনীকান্তের সঙ্গে মহাভারতের অর্জুনের একটি চরিত্রে অভিনয় করে সকলের নজর করেছিলেন। এরপর ১৯৯২ সালে ‘রোজা’ (Roja) ছবিতে তার ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর উত্তর ক্যারোলিনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মাষ্টার ডিগ্রি করেছিলেন অরবিন্দ স্বামী।
১৯৯৫ সালে মনীষা কৈরালার বিপরীতে ‘বম্বে’ ছবিতে দেখা যায় তাকে। তিনি রোজা ও বম্বে ছবির জন্য জাতীয় স্তরে পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়াও, বেশ কিছু সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। যদিও ৯০ দশকের শেষের দিকে তার ছবিগুলি বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করছিল না।
২০০০ সালের পর অভিনয় জগত থেকে স্বেচ্ছায় সরে গিয়ে অরবিন্দ পারিবারিক ব্যবসা দেখা শুরু করেন। তিনি ভিডি স্বামী অ্যান্ড কোম্পানি (VD Swamy & Company) এবং পরে ইন্টারপ্রো গ্লোবাল (Interpro Global)-এ কাজ করার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন। খুব শীঘ্রই তিনি সফল ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন।
এরপর ২০০৫ সালের তার একটি বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে এবং তিনি প্যারালাইসিসে ভুগছিলেন। দীর্ঘ ৪-৫ বছর চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। জানিয়ে রাখি, তিনি তার দুর্ঘটনার আগেই ট্যালেন্ট ম্যাক্সিমাস (Talent Maximus) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বামী, এটি ভারতের বেতন প্রক্রিয়াকরণ এবং অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের নিযুক্ত একটি সংস্থা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে ট্যালেন্ট ম্যাক্সিমাসের আয় ছিল ৪১৮ মিলিয়ন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩৩০০ কোটি টাকা। শারীরিক প্রতিবন্ধীকতা সত্ত্বেও স্বামী কোম্পানির পরিচালনায় জড়িত ছিলেন। এরপর ২০১৩ সালে প্রায় এক দশকেরও বেশি সময়ের পর অরবিন্দ স্বামীকে ‘কাডাল’ ছবিতে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন।