বিশ্বকাপ ২০০৩ ভারতীয় ফ্যানেদের জন্য অন্যতম স্মরণীয় বিশ্বকাপ ছিল যদিও ভারত শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয় এবং ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে। টুর্নামেন্টটি ভারতের জন্য এত স্মরণীয় হওয়ার কারণটি ছিল আসলে মেইন ইন ব্লুরা প্রথম দুটি ম্যাচে শুরুটা একেবারেই ভালো করে নি এবং এরপর ফাইনালে ওঠার আগে পর্যন্ত তারা দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করেছিল।
এবার দেখে নেওয়া যাক, ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে বাছাই করা সেরা একাদশ দলটিকে-
ওপেনার: (সচিন টেন্ডুলকার ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট)
২০০৩ সালের বিশ্বকাপ সচিন টেন্ডুলকারের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ৬১.১৮ গড় নিয়ে ৬৭৩ রান সংগ্রহ করেন – যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে একক ব্যাটম্যানের দ্বারা সর্বাধিক রান। দুর্ভাগ্যের বিষয়, ফাইনালে গিয়ে হতাশ হতে হয়।
অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এর মতো খুব কম ব্যাটসম্যানই ছিলেন যারা কম বলে বেশি রান করার ক্ষমতা দেখিয়েছিলেন। তিনি ৪০ এর বেশি গড় নিয়ে ৪০৮ রান করেন। ফাইনালে ম্যাচে গিলক্রিস্ট শুরুতেই ঝড়ো ইনিংস (৫৭) খেলেন।
মিডিল অর্ডার: (রিকি পন্টিং সৌরভ গাঙ্গুলী এবং ড্যামিয়েন মার্টিন)
ফাইনাল ম্যাচে রিকি পন্টিং এর ১৪০ রানের ইনিংসটি সর্বকালের সেরা ইনিংস বলে বিবেচিত হয়। সেদিন তিনি ভারতীয় বোলারদের নাজেহাল করে ছাড়েন।
ড্যামিয়েন মার্টিন এই বিশ্বকাপে ৪টি অর্ধশত রান করেন এবং ফাইনাল ম্যাচে তিনি রিকি পন্টিং এর সাথে ২০০ রানের বেশি পার্টনারশিপ গড়েছিলেন।
এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে হতাশ হওয়া অধিনায়ক হলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। তবে তার ব্যাট থেকে এসেছিল তিনটি সেঞ্চুরি, ২টি কেনিয়া ও একটি নামিবিয়ার বিরুদ্ধে।
অলরাউন্ডার: (স্কট স্টাইরিস এবং অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস)
নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান স্কট স্টাইরিস এই বিশ্বকাপে আক্রমনাত্মক ব্যাট করেছিলেন। তিনি ১০০ এর বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে ৮টি ম্যাচে ২৬৮ রান করেন, যার মধ্যে একটি সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি ছিল। এছাড়া বল হাতেও তিনি সাফল্য পান।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে ১৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং তারা নিশ্চিত করেছিল যে অস্ট্রেলিয়া তাদের জয়যাত্রা শুরু করে দিয়েছে।
বোলার: (চামিন্ডা ভাস, ব্রেট লি, গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং মুথাইয়া মুরলিধরন)
এই টুর্নামেন্টে যথাক্রমে ২৩, ২২ এবং ২১ উইকেট নিয়ে শীর্ষস্থানীয় তিন বোলার ছিলেন চামিন্ডা ভাস, ব্রেট লি এবং গ্লেন ম্যাকগ্রা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন চামিন্ডা ভাস। এরপর ব্রেট লি করেন কেনিয়ার বিরুদ্ধে।
আর স্পিনারদের মধ্যে ১০টি ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৭টি উইকেট শিকার করেন মুরলিধরন।