বিশ্বকাপের পর আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে ট্রেনিং করেছেন আর সাধারন পাঁচটা আর্মির মতই। তারমধ্যে সেলিব্রিটি সুলভ ব্যাপারটি একেবারেই নেই। তিনি বরাবরই এমনই একজন মানুষ। আর এই আর্থিক সংকটের সময়ে তিনি যা করলেন বোধহয় একমাত্র মহেন্দ্র সিং ধোনিই পারেন।
লকডাউন এর সময় কোনভাবেই তিনি কোনো বিজ্ঞাপনের প্রচার করতে চান না। আসলে গোটা দেশ করোনায় জর্জরিত এবং পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। বহু মানুষ রয়েছেন যারা দুইবেলা ঠিকমতো খেতে পারছেন না, অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে কোন ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত হতে রাজি নন মাহি।
জানা গেছে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ড তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক জানিয়েছেন এমন পরিস্থিতিতে তার পক্ষে কোনভাবেই প্রচার করা সম্ভব নয়।
ধোনির মতে, সারাদেশ যখন আর্থিক সংকটে জর্জরিত হয়ে রয়েছে এই সময় কোন বিজ্ঞাপনের হয়ে কাজ করলে একটা ভুল বার্তা দেওয়া হবে। তাই তিনি ঠিক করে নিয়েছেন যে গোটা দেশ যখন এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাই কোনোভাবেই বিজ্ঞাপনের সাথে কাজ করবেন না।
এই খবর জানা গেছে ধোনির এক ঘনিষ্ঠ মহলের বন্ধুর কাছ থেকে। তিনি জানিয়েছেন অনেক নামী-দামী ব্রান্ডের হয়েছে যারা ধোনির সাথে যোগাযোগ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে তাদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়ে মাহি বলেছেন, তাদের বিজ্ঞাপনের কোন প্রমোট করবেন না, এনডোর্সমেন্ট করবে না।
করোনা ত্রানে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা শচীন টেন্ডুলকার এবং সৌরভ গাঙ্গুলী সহ বিভিন্ন ভারতীয় ক্রিকেটাররা লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে অনুদান দিয়েছিলেন। তখন মাহির আর্থিক অনুদান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলে। তবুও তিনি নীরব থাকেন।
কখনোই তিনি এসব বিষয়ে প্রচারে আসতে চান না এমনকি কোন চটকদারি ঘোষণাও করেন না তিনি। তবে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করায় সবচেয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তিনিই হয়েছেন।
ধোনির বন্ধু জানিয়েছেন, “সে কখনোই সমালোচনা নিয়ে কখনো ভাবেন না। এমনকি কাউকে সাহায্য করলে কেউ জানতেও পারেনা। আমরাও জানতে পারি না। এমনই ধোনি।” সত্যিই তাই। বোধহয় এসব একমাত্র মহেন্দ্র সিং ধোনিই পারেন!