পুরাণে কথিত আছে যে, প্রচন্ড রেগে গিয়ে শিব তার ছেলে গনেশের মাথা কেটে ফেলেছিলেন। পার্বতী তা দেখে শিবকে দোষারোপ করতে থাকলে তার শেষমেশ বন থেকে একটা হাতির মাথা কেটে নিয়ে এসে গনেশের মাথায় বসিয়ে দেয়। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে গণেশের কেটে যাওয়া আসল মুণ্ডটি গেল কোথায়? যা অনেকেরই অজানা।
খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরখণ্ডের পিথোরাগঢ় থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ভুবনেশ্বর গ্রাম। এই গ্রামেই আছে পাতাল ভুবনেশ্বর মন্দির। কথিত আছে যে, গণেশের কেটে যাওয়া মনুষ্য মুণ্ড এই মন্দিরেই রাখা আছে। আর তা নাকি পাহারা দিচ্ছেন শিব নিজেই।
এই জায়গায় একাধিক গুহা রয়েছে আর সবগুলি এক জায়গায় মিলিত হয়েছে। বিশ্বাস করা হয়, এই সব গুহা গুলির মিলনস্থলে যে উঁচু পাথরের ঢিবিটি রয়েছে, সেটাই আসলে হলো গণেশের মনুষ্য মুণ্ড।
এই ৯০ ফুট গভীর এবং ১৬০ মিটার দীর্ঘ বিশাল বড় গুহা মন্দিরে আসা বেশিরভাগ ভক্তগন গভীর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। তবে এই মন্দিরে মানুষ একবারই প্রবেশ করতে পারে, দ্বিতীয়বার আর কেউ ঢোকার চেষ্টা করে না কারণ লোকমুখে কথিত আছে সেটা অমঙ্গল হয়।
তবে যারা গণেশের মনুষ্য মুণ্ড রাখার মূল স্থলে না গিয়ে মাঝপথ থেকে ফিরে আসেন তাদের এই মন্দিরে আর কখনোই পা দেওয়া হয় না। আবার অনেকের মতে, এই মন্দিরের গুহার দেওয়াল ধরে চললেও পুণ্য অর্জন হয়। দুঃখ দুর্দশা দূর হয়ে যায়।
এই পাতাল ভুবনেশ্বর মন্দিরটি আসলে সরযূ, রামগঙ্গা এবং গুপ্ত গঙ্গার মিলনস্থলের কাছেই গড়ে উঠেছে।
লোকমুখে কথিত আছে যে, গণেশের মাথা পাহারা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে শিব আসলে ছেলের মাথা কেটে ফেলার প্রায়শ্চিত্ত করেন।