মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিকেট থেকে প্রায় ১০ মাস দূরে রয়েছেন কিন্তু নিয়মিত খবরের শিরোনামে থাকছেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কে গৃহবন্দী এদিন স্ত্রী সাক্ষী ইনস্টাগ্রাম লাইভ চ্যাটে কথোপকথনের মাধ্যমে মহেন্দ্র সিং ধোনির সম্পর্কে নানান কথা তার অনুরাগীদের সাথে শেয়ার করেন।
বিশ্বকাপের পরে ধোনি কেমন আছেন বা কি করছেন তা নিয়ে কখনোই মুখ খোলেননি কিন্তু এদিন অনেক কিছুই জানা গেল তার স্ত্রীর মুখ থেকে। চেন্নাই সুপার কিংসের ইনস্টাগ্রাম থেকে লাইভ চ্যাটে এসেছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি তুলে ধরলেন তার জীবনের নানান অজানা কাহিনীও।
সাক্ষী বলেন, কলেজে পড়ার সময় সেভাবে ক্রিকেট দেখা হয়নি। তবে দলের কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম শুনেছিলেন যেমন শচীন টেন্ডুলকার সৌরভ গাঙ্গুলী। তার মায়ের কাছ থেকে শুনেছিলাম এক লম্বা চুলের পাহাড়ি ছেলের কথা। কিন্তু পরে যখন আলাপ হয় তখন তার চুল কাটা ছিল।
ধোনি এতটাই শান্ত যে তারমধ্যে আবেগের এতোটুকু ছিটেফোঁটা নেই, কিন্তু এটা মানুষের ভুল ধারণা। সে খুবই আবেগপ্রবণ এবং খেলাটাকে দারুন ভালবাসে। তবে ওর মাথা খুবই ঠাণ্ডা, যে কেউ তার মাথা গরম করতে পারবে না, একমাত্র তাঁর স্ত্রী ছাড়া। মাহি কেবল তার স্ত্রীর উপরেই রাগ দেখাতে পারে কারণ সে তার সবচেয়ে আপন।
মহেন্দ্র সিং ধোনির নয়টি বাইক রয়েছে আর লকডাউনে বাড়িতে বসেই সেগুলির মেরামত করছে এবং নতুন পার্টস লাগাচ্ছে। এমনকি যতক্ষণ না কাজ শেষ হচ্ছে ততক্ষণ সে কাজ করেই যাবে।
তবে মহেন্দ্র সিং ধোনির সবচেয়ে প্রিয় হলো ভিডিও গেমস খেলা। নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে ভিডিও গেমে ডুবে থাকেন। আর এখন তো পাবজি খেলতে অভ্যস্ত, এমনকি ঘুমের ঘোরেও সেই কথা বলে।
যখন বিদেশে সফর হতো তখন রাত্রিবেলায় মাহি তার হোটেলে দরজা সারারাত খোলা রাখতেন এবং অনেকেই আসছেন আড্ডা দিতে। কোন কোন দিন ভোরও হয়ে যেত।
ধোনির অবসর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাক্ষী জানিয়েছেন যে, খুব একটা টুইটার ব্যবহার করা হয় না যে কারণে মাহির অবসর নিয়ে প্রসঙ্গগুলি চোখে পড়ে না। সেদিন তাঁর এক বন্ধু মেসেজ করে জানানোর পরেই মাহির অবসর প্রসঙ্গে জল্পনা উড়িয়ে দিই।
লকডাউনের পরে মহেন্দ্র সিং ধোনি পাহাড়ের দিকে বেড়াতে নিয়ে যাবে। যদি ক্রিকেট না হয়। অবশেষে মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবনের সেরা তিনটি মুহূর্তের কথা উল্লেখ করেন। সাক্ষী বলেন, মাহির পদ্মভূষণ পাওয়া, লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদ অর্জন করা এবং ২০১১ বিশ্বকাপ জয়।