আজ সৌরভ গাঙ্গুলী যদি ক্রিকেটার না হতেন হয়তো তাকে মানুষ সেভাবে চিনতো না। তবে বরং তিনি ক্রিকেটার হয়ে ভালই করেছেন বাংলা তথা ভারতের নাম উজ্জ্বল করেন। বিদেশের মাঠে কিভাবে জয়লাভ করা যায় সেই পথ ভারতকে দেখিয়েছিলেন তিনি। তাকে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অধিনায়ক বলা হয় এবং তিনি তরুণ বিগ্রেড হরভজন, যুবরাজ, বীরেন্দ্র শেবাগ এবং জহির খানদের নিয়ে একটি ক্রিকেট ফৌজ তৈরি করেছিলেন।
প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট একটি ইন্টারভিউর মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, তার প্রথম প্রেম হলো ফুটবল। বাল্যকাল থেকেই একজন নিজেকে ফুটবল হিসেবে দেখতাম। কিন্তু তা আর পূরণ হয়নি তার বাবার জন্য, ফুটবলারের বদলে ক্রিকেটার হয়ে উঠলাম। তবে তার মনে ফুটবলের প্রতি অগাধ প্রেম রয়েছে।
সৌরভ গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, তিনি ছোটবেলায় নাকি ভীষণ চঞ্চল প্রকৃতির ছিলেন এবং তাই তার বাবা ভেবেছিলেন যে, ক্রিকেট খেলা শুরু করলে হয়তো সে আর দুষ্টুমি করার সময় পাবে না। আর বাবার বকুনি এড়ানোর জন্যই তিনিও ক্রিকেটে কোচিং নেওয়ার মনস্থির করলেন।
সৌরভ গাঙ্গুলীর বাবা সেই সময় সিএবির এর সাথে যুক্ত ছিলেন। সৌরভ জানান, তার মধ্যে কি এমন দেখেছিলেন যে তাকে ক্রিকেটার হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে। কিন্তু আমার প্রথম প্রেম ছিল ফুটবল। এরপর ক্রিকেটে ভর্তি হয়ে একের পর এক ধাপ পেরিয়ে দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাই। এরপর অধিনায়কের দায়িত্ব।
তিনি তার ক্যারিয়ারে ভারতীয় ক্রিকেটকে এক উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি এরপর ২০০৩ সালে বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে ফাইনালে তোলা। এরপর জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে আবার রাজকীয়ভাবে প্রত্যাবর্তন করা – তার বর্ণময় ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ছিল এক সুন্দর জার্নি।
করোনা আতঙ্কে দীর্ঘদিন ধরেই ক্রিকেট বন্ধ হয়ে রয়েছে। এমনকি আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়েও কিছু বলতে পারেনি। সৌরভ গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। তিনি আরো জানান, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে টেস্টের জন্য তৈরি থাকতে হবে। এছাড়া নির্ধারিত নিয়ম কানুনগুলি মেনে মাঠে নামতে হবে।