বিশ্বে এমন অনেক স্বৈরশাসক রয়েছেন যারা মানবতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন এবং মানুষকে তারা ক্ষমতায় ভয় দেখিয়ে সবকিছু লুটপাট করেছে। এমনকি তারা নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কোটি কোটি মানুষের জীবন নিয়ে খেলেছে।
একই সাথে তারা এমন কতগুলি স্বৈরশাসন চালু করেছিল যা পুরোটাই অমানবিক ছিল। আইন না মেনে চলে অর্থাৎ পান থেকে চুন খসলেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতো।
👉 বিশ্বের সবথেকে ৬ নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের সম্পর্কে, যাদের নাম শুনেও লোকেরা কাঁপতঃ-
১) অ্যাডলফ হিটলার
স্বৈরশাসকের কথা বললেই সবার প্রথমে আসে জার্মানের সমাজতান্ত্রিক ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা অ্যাডলফ হিটলার। তার বিরুদ্ধে এক কোটির বেশি মানুষ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে ৬০ লাখ মানুষই ছিলেন ইহুদি জাতি। তার কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় এবং সেই যুদ্ধে প্রাণ হারান ৭ কোটি মানুষ। আশ্চর্যের কথা ৩ কোটি কোটি নিরীহ মানুষকে হত্যার পরেও, শান্তির পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
২) মাও সে তুং
মাও সেতুং আধুনিক চীনের রূপকার এবং ইতিহাসের অন্যতম নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসক। তার বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। এরপরেও তিনি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নামে ৩ কোটি মানুষকে হত্যা করেন।
৩) জোসেফ স্টালিন
সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম স্বৈরাচারী শাসক জোসেফ স্টালিন কঠোরপন্থী ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার নেতৃত্বে হিটলারের জার্মানিকে হারাতে ভূমিকা রাখে৷ তার ৩১ বছর রাজত্বকালের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল৷ তিনিও হিটলারের মতোই শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
৪) ইয়াহিয়া খান
৭০ দশকের আগে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পান ইয়াহিয়া খান৷ সে বছরই স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের কাছ থেকে পাকিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করেন৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ হত্যা ও ২ লাখ নারীকে ধ’র্ষণ করে পাক সেনা বাহিনী৷ ‘বাংলাদেশ গণহত্যা’-র নৃশংস ঘটনার জন্য তিনি দায়ী ছিলেন৷
৫) সাদ্দাম হোসেন
ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের স্বৈরাচার সম্পর্কে কারোর অজানা নেই। ১৯৭৯ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ কুর্দি সম্প্রদায়কে ইরাকে হত্যা করে৷ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও ছিল সাদ্দামের বিরুদ্ধে৷ মার্কিন বাহিনী ইরাক দখলের পর সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কৃতকর্মের জন্য ২০০৬ সালে ফাঁসি দেওয়া হয়৷
৬) কিম জন উন
স্বৈরশাসকের তালিকায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং এর নাম ও তার পূর্বপুরুষদেরও রয়েছে। জানা যায়, সে তার কাকাকে বুনো কুকুরের খাঁচায় ফেলে হত্যা করেছিল। উত্তর কোরিয়ায় এমন বহু আজব নিয়ম চালু আছে মেনে না চললেই মৃত্যুদণ্ড হয়। সেখানে প্রাণভিক্ষা নামক কোন শব্দ নেই।