ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অফস্পিনার হরভজন সিং যুবরাজ সিংহের প্রশংসা করে জানিয়েছেন যে যিনি তাঁর এক দশক ধরে সতীর্থ ছিলেন। আর এই বামহাতি তারকাকে ছাড়া ভারত ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ বিশ্বকাপ জিততে পারত না। এই দুই সতীর্থের বন্ধুত্বের কথা ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে কারো অজানা নয় এবং দুজনেই ১০-১৫ বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটের হয়ে বিশাল ভূমিকা পালন করেছেন।
৩৯ বছর বয়সী প্রাক্তন এই ক্রিকেটার বলেছেন যে কপিল দেব, শচীন তেন্ডুলকর, অনিল কুম্বলে এবং সৌরভ গাঙ্গুলির মতোই যুবরাজ ভারতীয় ক্রিকেটে ততটাই অবদান রয়েছে। তিনি এবং তাঁর মতো কোটি কোটি ভারতীয় ভক্তদের বিশ্বকাপের স্বপ্নকে সত্য করে তোলার জন্য পাঞ্জাব রাজপুত্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
যুবরাজ সিং ভারতের ২০০৭ এবং ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই অলরাউন্ডার উভয় টুর্নামেন্টে প্রতিটি বিভাগেই নিজস্ব ছাপ রেখে এসেছেন যা চিরকাল অমলিন থাকবে। ২০১১ বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টে অল-রাউন্ড অবদানের জন্য তাকে ম্যান অফ টুর্নামেন্ট হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। অন্যদিকে, ২০০৭ সালে এক ওভারে ছটা ছক্কার জেরে ইংল্যান্ড হারিয়ে ভারত সেমিফাইনালে ওঠে।
হরভজন সিং বলেছেন, বিশ্বকাপ জয়ের জন্য প্রতিটি দলে যুবরাজ সিংয়ের মতো একজন অতিরিক্ত সাধারণ খেলোয়াড়ের প্রয়োজন। তার মতো একজন ভাগ্যবান খেলোয়াড় ভারতে ছিল। যুবরাজ যে কোনও রান তাড়া করতে প্রস্তুত এবং যখনই দলের প্রয়োজন ছিল উইকেট তুলতেন। তাছাড়া তিনি মাঠেও অসামান্য ছিলেন। এগুলিই তাকে দলে একটি সম্পদ হিসাবে পরিণত করেছিল।
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা বলতে গিয়ে হরভজন বলেন যে তারা তরুণ অধিনায়ক এমএস ধোনির অধীনে দক্ষিণ আফ্রিকাতে সেখানে নির্ভীক ভাবে ক্রিকেট খেলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে কোনও প্রত্যাশা ছিল না কারণ ভারত তাদের কয়েকজন আসল খেলোয়াড়কে ছাড়াই খেলতে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন অফ স্পিনার।