Birthplace of Hanuman: সম্প্রতি পালিত হয়েছে হনুমান জয়ন্তী। দেশজুড়ে কোটি কোটি ভক্ত এই উৎসবে মেতেছেন। হনুমানকে আমরা ভগবান রামের দূত হিসেবেই চিনি। রামায়ণ থেকে হনুমান সম্পর্কিত অনেক তথ্যই জানা যায়। তবে আপনি কি জানেন হনুমান কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন? এবার জেনে নেওয়া যাক…
ভগবান হনুমান কর্নাটকের কিষ্কিন্ধায় এক পাহাড়ে জন্মগ্রহণ করেন। এই পাহাড়ের একটি পাথরকে দূর থেকে হনুমানের মুখের মত দেখায়। এখানে যারা যায় তারা প্রত্যেকেই এটিকে দেখে একটি অলৌকিক বলে মনে করেন। এই পাহাড়ের চূড়ায় একটি মন্দির রয়েছে। যেখানে হনুমানজির জন্মের কথা বলা হয়েছে। এখানে সর্বদা কীর্তন চলে।
এটিও সেই জায়গা যেখানে বানরদের রাজধানী ছিল। একে আমরা দণ্ডকারণ্য বলি। এটি খুবই সুন্দর ও মনোরম জায়গা। এই পাহাড়ে হনুমানের জন্ম হয়েছিল বলে এটি অঞ্জয়নাদ্রি পাহাড় নামে পরিচিত। এখানে দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে পবিত্র নদী তুঙ্গভদ্রা এই পাহাড়ের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে এবং এর বাতাসে বিভিন্ন সংগীত উৎপন্ন করে যা আপনার কানে আসবে।
কিষ্কিন্ধায় শুধু আপনি পাহাড়ই দেখতে পাবেন। এছাড়াও সবুজ মাঠ আর নারিকেল ভর্তির গাছ। এছাড়াও এই এলাকার গ্রাফাইট শিলাগুলি এতটাই বিশেষ যে সারা দেশে তাদের চাহিদা রয়েছে। বাল্মিকীর লেখা রামায়ণ গ্রন্থে কিষ্কিন্ধা সম্পর্কে উল্লেখিত রয়েছে। সীতার সন্ধানে রাম যখন এই এলাকায় পৌঁছান তখন ভরা বর্ষাকাল। তাদের আশ্রয় নেওয়ার আর কোন বিকল্প ছিল না। এখানকার একটি গুহায় তারা আশ্রয় নিয়েছিলেন।
অঞ্জয়নাদ্রি পাহাড়ের চূড়ায় হনুমানজির একটি মন্দির রয়েছে। নিয়মিত এখানে হনুমান চল্লিশা পাঠ করা হয়। যদিও এখানে পৌঁছানো এত সহজ নয়। এর জন্য প্রায় ৫০০ সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। এত প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও ভক্তদের হনুমানজির দর্শনকে আরও বিশেষ করে তোলে। এখানে পৌঁছানো মাত্রই আনন্দে বিভোর হয়ে উঠবেন।
অঞ্জয়নাদ্রি পাহাড়ে চূড়ায় পৌঁছানোর পর আপনি কিষ্কিন্ধা শহরের একটি মনোরম দৃশ্যও দেখতে পাবেন। সবুজে ঘেরা পাহাড় এবং তাদের মধ্য দিয়ে যাওয়া তুঙ্গভদ্রা নদীর সৌন্দর্য। যাইহোক অঞ্জয়নাদ্রি পাহাড়ের আরেকটি বিশেষত্ব রয়েছে, এর উপরের প্রান্তটি দেখতে হুবহু হনুমানজির মুখের মত। প্রাচীনকালে, কিষ্কিন্ধা একটি অত্যন্ত বিলাসবহুল শহর ছিল, যা রামায়ণেও উল্লেখ রয়েছে।