ম্যাচ গড়াপেটায় অভিযুক্ত থাকা অভিযুক্ত সাকিব আল হাসানকে আইসিসি তরফ থেকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তবে সাকিব-আল-হাসান সমস্ত অভিযোগের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন বলে এক বছর সাজা কম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কোন ঘটনার জেরে আইসিসি থাকে এমন সাজা দিল সেইসব জুয়াড়িদের সাথে কথাবার্তা কথা ফাঁস করলো আইসিসি। দুজনের কথাবার্তা হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। তবে সাকিব আল হাসান সব কিছু ডিলিট করে দেয়।
এই ঘটনায় জড়িত দীপক আগারওয়াল নামক এক ব্যক্তি সাকিব আল হাসানের সাথে গোপনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। সেই কথা তিনি নিজের দেশ এবং আইসিসিকে না জানানোর অপরাধে বছরখানেক তাকে ক্রিকেট থেকে দূরে সরে থাকতে হবে বলে ঘোষণা করে দিয়েছে আইসিসি।
সময়টা ছিল বছর দুয়েক আগে, ২০১৭ তে তখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চলছিল। সাকিব-আল-হাসান তখন খেলছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের দলে। সময় শাকিবের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি দীপক আগারওয়ালকে ফোন নম্বর দিয়েছিলেন যাতে তিনি সাকিব আল হাসানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এরপরই সেই ব্যক্তি সাকিব আল হাসান কে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন এবং বিভিন্ন তথ্য জানতে চান এমনকি দেখা পর্যন্ত করতে চেয়েছিলেন।
আইসিসির প্রথম সন্দেহ হয়েছিল ২০১৮ সালে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ চলার সময়। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে সাকিব-আল-হাসান দুর্দান্ত পারফর্ম করে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছিল এবং তাকে অভিনন্দন পাঠিয়ে দীপক আগারওয়াল লিখেছিলেন, “এখন কি আমরা কাজ শুরু করব? না আমি আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা করব?” এই কথার জেরে আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার নজরে চলে আসে সাকিব আল হাসান।
এরপর সেই বছরে আইপিএল খেলার সময় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের খেলছিলেন সাকিব আল হাসান। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে সাকিবকে আবার দীপক আগরওয়াল মেসেজ করেছিলেন এক বিশিষ্ট খেলোয়ার খেলছে কিনা। কি সেই দিনই তার সাথে সাক্ষাৎ করতে চান। এছাড়াও তার সাথে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে কথাবার্তা চলছে বলে জানিয়েছেন আইসিসি।
এরপরে সাকিব আল হাসান পুরো ঘটনা সতর্ক হয়ে তিনি তার হোয়াটসঅ্যাপের সমস্ত মেসেজগুলো ডিলিট করে দেন। তবে এই পুরো ঘটনাটি নিজের মধ্যে চেপে রেখেছিলেন। আইসিসি নিয়ম অনুযায়ী কোন জুয়াড়ি ক্রিকেটারের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের দেশের ক্রিকেটবোর্ডকে সবার প্রথমে জানাতে হবে এমনকি আইসিসিকেও। এরমধ্যে সাকিব-আল-হাসান একটিও করেনি। যার ফলে তাকে এই অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে শাস্তি মেনে নিতে হলো।