ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ অর্থাৎ আইপিএল হলো বিশ্বের সবচেয়ে ধনীতম লীগ। এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের খেলায় খেলোয়াড়দের রাতারাতি ভাগ্য বদলে যায়। সেই কারণে দেশ-বিদেশের খেলোয়াড়রা এই লীগের সাথে যুক্ত হতে চান। প্রতিবছর আইপিএল নিলামের সময় খেলোয়াড়দের পিছনে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি কোটি কোটি টাকা খরচ করে দলে অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এত টাকা খরচ করার পরেও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো উপার্জন কিভাবে করে বা তাদের আয়ের উৎস গুলি কি কি?
আসলে বিসিসিআই ও আইপিএলের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস হল মিডিয়া এবং সম্প্রচার। আইপিএল তাদের মিডিয়া স্বত্ব সম্প্রচার বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করে থাকে। বর্তমানে আইপিএল সম্প্রচার করার স্বত্ব রয়েছে স্টার স্পোর্টসের হাতে। জানা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৬৪৭ কোটি টাকায় আইপিএল সম্প্রচার করার স্বত্ব কিনেছে স্টার স্পোর্টস। এছাড়াও প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে আইপিএলের স্পন্সরশীপের দায়িত্ব পায় নানা কোম্পানিগুলি। এবারে ৬০০ কোটি টাকায় স্পন্সরশীপের দায়িত্ব পেয়েছে টাটা গ্রুপ।
মিডিয়া সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করার পাশাপাশি আইপিএল বিজ্ঞাপন থেকেও প্রচুর টাকা আয় করে থাকে। আম্পায়ারের জার্সি থেকে শুরু করে হেলমেটের পাশাপাশি বাউন্ডারির লাইনের ধারে বিভিন্ন কোম্পানির নাম ও লোগো ইত্যাদি আয়ের অন্যতম উৎস। এছাড়াও ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলির জার্সিতে, গ্লাভস বা ক্যাপে বিভিন্ন কোম্পানির নাম থাকে, যা থেকেও মোট অঙ্কের অর্থ আসে।
আইপিএলই কেবল মিডিয়া সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করেই আয় করে না। খেলোয়াড়রাও নানা ধরনের শুটিংয়ে বিজ্ঞাপন করে প্রচুর অর্থ আয় করে থাকে। গত ২৬ শে মার্চ থেকে শুরু হয়েছে আইপিএল-র ১৫ তম আসর। এবারের আইপিএলের দুটি গ্রুপে দশটি দলের মধ্যে লড়াই দেখা যাচ্ছে। গতবারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস প্রথম ম্যাচেই কেকেআরের কাছে পরাজিত হয়েছে এবং এই টুর্নামেন্টের শেষ হাসি কে হাসবে, তা সময়ই বলবে।