মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মুল্যায়ন কিভাবে করা হবে। চলতি বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা এই মূল্যায়নের ফলে কত নম্বর পেতে চলেছে জানতে তার একটি নমুনাও দিয়েছে।
জানা গেছে ক্লাস নাইনের বার্ষিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর এবং ক্লাস টেনের ইন্টার্নাল ফর্মেটিভ অ্যাসেসমেন্ট প্রাপ্ত নম্বরকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হবে মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশীট। অর্থাৎ মূল্যায়ন করা হবে ৫০-৫০ হারে।
উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের সালের মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ যে চারটি বিষয়ে পরীক্ষার্থীরা নম্বর পেয়েছিল। সেই প্রাপ্ত নম্বরের ৪০% এর ২০২০-র একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় (থিওরি) প্রাপ্ত নম্বরের ওপর ৬০% এবং তারই সাথে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রজেক্ট বা প্র্যাকটিক্যালের ৩০ নম্বর যুক্ত করে মূল্যায়ন করা হবে মার্কশীট।
👉🏻 ৪০% নম্বর এর ক্ষেত্রে:
মাধ্যমিকে ৪০% ওয়েটেজ। অর্থাৎ ৭০ এর ৪০% = ২৮। কোনো পরীক্ষার্থী যদি মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া চারটি বিষয়ে অর্থাৎ ৪০০ নাম্বারের মধ্যে ২০০ পান তাহলে তার ওয়েটেজ অনুযায়ী প্রাপ্ত নম্বর হচ্ছে ২৮x২০০/৪০০= ১৪।
👉🏻 ৬০% নম্বর এর ক্ষেত্রে:
একাদশ শ্রেণির ৬০% ওয়েটেজ। অর্থাৎ ৭০ এর ৬০% = ৪২। কোন পরীক্ষার্থী যদি একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় কোনও বিষয়ে ৭০ এর মধ্যে ৫০ পান। তাহলে একাদশ শ্রেণির ওয়েটেজ অনুযায়ী সেই পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হবে।
৪২x ৫০/৭০= ৩০। এবার সেই বিষয়ে পরীক্ষার্থীর।প্রাপ্ত নম্বর হলো ১৪+৩০+২৮=৭২। এই মূল্যায়ন প্রযোজ্য হবে সেই সকল বিষয়ের যাদের প্রাক্টিক্যাল রয়েছে। তবে আর্টস এবং কমার্স পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে পূর্ণমান ৭০ এর জায়গায় ৮০ হবে এবং প্র্যাকটিক্যাল এর নাম্বার ৩০-র বদলে ২০ হবে। এবং একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার মার্কশীট এখনো যে সকল স্কুল সংসদে জানায়নি তাদের অবিলম্বে সেই নাম্বার পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছে। এমনটা না হলে সেই সকল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মার্কশীট মূল্যায়ন করা যাবে না।