‘মাস্টার ব্লাস্টার’ শচীন টেন্ডুলকারের সর্বকালের সেরা ওডিআই ইনিংসগুলির মধ্যে ৮টি ইনিংসকে বেছে নিয়েছে আইসিসি। যে ফরম্যাটে তিনি ৪৯টি সেঞ্চুরিসহ ১৮,৪২৬ রান সংগ্রহ করেছেন। তিনি তার ২৪ বছর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বহু কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। এবার জেনে নেওয়া যাক, তার সেরা ওডিআই ইনিংসগুলি কি কি:-
১) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৩ (শারজা)
১৯৯৮ সালের শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শচীন টেন্ডুলকারের ইনিংসটি “মরুভূমির ঝড়” বলে পরিচিত হয়েছে। সেদিন বিপক্ষ দলের বোলিং গুঁড়িয়ে দিয়ে তিনি ১৩১ বলে ৯টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৪৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এর ফলে ভারতীয় দল ফাইনালে উঠেছিল।
২) কেনিয়ার বিপক্ষে ১৪০ রান (বিশ্বকাপ)
১৯৯৯ বিশ্বকাপে শচীন টেন্ডুলকার কেনিয়ার বিপক্ষে দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন, কিছু দিন আগেই তিনি তার পিতাকে হারান। ১৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৪৩ রানের ইনিংসটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস হয়। এরফলে ভারতীয় দল বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল।
৩) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩৪ (শারজা)
এই টুর্নামেন্টে তার “মরুঝড়”-র ঠিক দুই দিন আগে শচীন ১৪৩ রানের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও একটি স্মরণীয় ইনিংস খেলেছিলেন। তিনি ১৩১ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৩৪ রান করেন। ফলে ভারতীয় দল ২৭২ রানের তাড়া করে ৬ উইকেটে জয়ী হয়।
৪) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৭৫ (হায়দ্রাবাদ)
ভারতকে জয়ের জন্য ৩৫১ রান চেস করতে হতো। এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় শচীন। বাইশ গজে তিনি একাই লড়াই চালিয়ে যান। ১৪১ বলে ১৯টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৭৫ রান করেন। দুর্ভাগ্যবশত, ম্যাচটি মাত্র ৩ রানের জন্য ভারতীয় দল পরাজিত হয়।
৫) পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৮ (বিশ্বকাপ)
২০০৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানি দল প্রথমে ২৭৩ রান তোলে। এরপর শচীন টেন্ডুলকার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তিনি ৭৫ বলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯৮ রান করেন। দুর্ভাগ্যবশত, আখতারের বলে মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন।
৬) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১৭ * (সিডনি)
২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ব্রেট লি, মিচেল জনসন এবং নাথন ব্রাকনের মত শীর্ষস্থানীয় আক্রমণাত্মক বোলিং এর ধ্বজা উড়িয়ে শচীন ১১৭ রানের ইনিংস খেলে ভারতীয় দলকে জিতিয়েছিলেন।
৭) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০০ (গোয়ালিয়র)
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শচীন ওডিআই ক্রিকেটের প্রথম ব্যাটসম্যান হন। ১৪৭ বলে ২০০ রানে অপরাজিত ছিলেন। এরফলে ভারতীয় দলের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৪০১ রানে এবং ১৫৩ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে।
৮) নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮২ রান (অকল্যান্ড)
১৯৯৪ সালে প্রথমবার টেন্ডুলকার ওপেনিং করার সুযোগ পেয়ে কিউই বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ছিলেন। ১৪৩ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তিনি ৪৯ বলে ১৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এরফলে সহজেই ভারতীয় দল জয়লাভ করে।