আইপিল ২০২১: চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তিনি ৩২ বলে ৭৮ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। এরপর তৃতীয় ম্যাচেও পাঞ্জাবের বিপক্ষে ১৭ বলে ৩২ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। অতীতের পারফরম্যান্স ভুলে তিনি এখন জবাব দিচ্ছেন নিন্দুকদের।
তার খেলার ছন্দ দেখে যুবরাজ সিং এর একটি পুরনো বিজ্ঞাপন এর কথা মনে পড়ে যায়। ওই বিজ্ঞাপনের উদ্ধৃতিতে যুবি বলেছিলেন, “যব তক বল্লা চল রাহা হ্যায়, তব তক ঠাট হ্যায়। যব নেহি চলেগা…”। (যতক্ষণ ব্যাটে রান আছে, ততক্ষণ ঠাট আছে) হয়ত ওই কথাকে মনে করেই পৃথ্বী শ এগিয়ে চলেছেন।
এদিন পঞ্জাব কিংসকে ৬ উইকেটে পরাজিত করার পর সাংবাদিক সম্মেলনের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। পৃথ্বী শ জানিয়েছেন, “অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর ভীষণ মন খারাপ করত। শুধু ভাবতাম সবাই আমাকে এভাবে আউট হতে দেখল। আর আমি নিজেকে প্রশ্ন করতাম, আমি কি সত্যিই এতোটাই খারাপ ব্যাটসম্যান? নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার যোগ্যতা কি আমার নেই?”
পৃথ্বী শ এরপর জানান, “দেশে ফিরে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক প্রশান্ত শেট্টি ও দিল্লি ক্যাপিটালসের সহকারী ব্যাটিং প্রশিক্ষক প্রবীণ আমরের কাছে চলে যাই। ওদের পরামর্শ অনুযায়ী অনুশীলন করা শুরু করি। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ব্যাটিংয়ের কারণেই বিজয় হাজারে ট্রফির পর আইপিএলেও সেই ছন্দ খুঁজে পেয়েছি।”
প্রসঙ্গত তবে তার খারাপ সময় গত অস্ট্রেলিয়া সফরে নয় বরং তার আগের আইপিএল মরসুম থেকেই শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালে আইপিএলে বিফল হলেও তিনি কখনোই ব্যর্থতাকে একেবারে গুরুত্ব দেননি। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পরেই তার চোখ খুলে যায়।
মন খারাপ থাকলেও তিনি তার ভুল শুধরে নেয় দেশে ফিরে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ব্যাটিং এর মাধ্যমে। আর এর হাতেনাতে ফল পান বিজয় হাজারে ট্রফি পর আইপিএলেও তার ব্যাটে জবাব দিচ্ছেন।