বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য অবশেষে উন্মোচিত হলো। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে কতগুলো বিমান ও জাহাজ উধাও হয়ে গেছে তা কি আপনি জানেন? আমাদের মনে হয় এই ভয়ানক স্থান থেকে উধাও হয়ে গেছে এমন জাহাজ ও বিমান এর সংখ্যা অগণিত! বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বারমুডা ফ্লোরিডা এবং পুয়ের্তো রিকোর মাঝখানে আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত একটা বিশাল সামুদ্রিক এলাকা, যা দেখতে একটা ত্রিভুজের মতন।
বহুদিন আগে থেকেই অঞ্চলটা ‘শয়তানের এলাকা’ বলেই পরিচিত যার পেছনে জড়িয়ে আছে এক বিশাল রহস্য। আজ অব্দি কোন জাহাজ ও বিমান এই স্থান থেকে ফিরে যেতে পারেনি এবং এসকল হারিয়ে যাওয়া যানবাহনের মধ্যে অনেকগুলো এখনো পর্যন্ত কোনো হদিসই পাওয়া যায়নি। দৈত্যাকার কোন প্রাণী কিংবা ভিনগ্রহের কোন প্রাণী অথবা অতিপ্রাকৃতিক জলরাশির ঘূর্ণিঝড়কে এর পেছনে দায়ী বলে অসংখ্য মতবাদ রয়েছে।
এই বারমুডা ট্রাইঙ্গেল এর প্রথম রহস্যের উৎপত্তি হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। এই সময়ে আমেরিকার পাঁচটি যুদ্ধবিমান রীতিমতো গায়েব হয়ে যায় এবং পরে আরো একটি বিমান সেই বিমানগুলোকে খুঁজতে গেলে তারও কোন হদিস পাওয়া যায়নি। সেই দিন থেকে আরও ৭৫টি বিমান এবং কয়েক শত জাহাজ হারিয়ে গেছে। সর্বশেষ যে ঘটনাটি ঘটেছিল সেটা ২০১৫ সালের মাঝামাঝি দিকে।
এত বছর পর এই রহস্যের হয়তো অবসান হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী স্যাটেলাইটে ধারনকৃত ওই অঞ্চলের ছবি বিশ্লেষণ করেন এবং তারা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের ওপরে কিছু ষড়ভুজ আকৃতির মেঘকে দেখতে পান। যেগুলোকে বায়ুর তৈরি বোমা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই বায়ুর বোমাগুলি মূলত ভয়ানক বাতাসের ঝাপটায় বিস্ফোরণ ঘটায়, যা খুব সহজেই ঘণ্টায় ১৭০ মাইলেরও বেশি গতিতে ছুটতে পারে।
এর ফলে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে অতি শক্তিশালী হ্যারিকেন (সামুদ্রিক ঝড়) তৈরি হয়, যার ৪৫ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন ঢেউ কোন জাহাজ প্রতিরোধ করতে পারে না এবং কোন বিমানের পক্ষেই এত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ভেদ করে সামনে যাওয়া সম্ভব না। যাইহোক স্যাটেলাইটে ধারনকৃত ছবিগুলোকে বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় বারমুডা ট্রাইঙ্গেলের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।
এই ঘোষণার পরে আরো অনেক গবেষণা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এটা নির্ণয় করার চেষ্টা করছেন যে আসলে এই অস্বাভাবিকতার পেছনে কারণটা কি রয়েছে..!