২০১৫ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে, নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার সমস্ত খেলোয়াড়রা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন। অধিনায়ক ডিভিলিয়ার্সও তার চোখের জল আটকাতে পারেনি এবং সেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। তিনি আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা আইকনিক খেলোয়াড়। তাই সমস্ত ক্রিকেটপ্রেমীদের আক্ষেপ থেকে গেল যে, বিশ্বকাপ ছাড়ায় ডিভিলিয়ার্সকে খালি হাতে বিদায় নিতে হলো।
☞ আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, বিশ্বের এমন ৫ কিংবদন্তি ক্রিকেটার, যারা কখনও বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হতে পারেন নি:-
১) সৌরভ গাঙ্গুলী:
১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল অব্দি সৌরভ গাঙ্গুলী তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে তিনি ভারতীয় দলকে ফাইনালেও নিয়ে গিয়েছিলেন, তবে শেষ মুহূর্তে হতাশ হতে হয়েছিল। এমন আগ্রাসী মনোভাবের অধিনায়কের আমলে তৈরি হওয়া কয়েকজন ক্রিকেটার ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
২) এবি ডি ভিলিয়ার্স:
ডিভিলিয়ার্স ক্রিকেট জগতে এমন কয়েকটি কৃতিত্ব অর্জন করেছেন যা অন্য কোন ব্যাটসম্যান তা ভাবতেও পারেন না। এছাড়াও ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরির মালিক তিনিই। তার অসাধারন ক্রিকেটীয় ব্যক্তিত্বের জন্য ৩৬০° খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি পান। এত কিছুর পরেও তিনি কখনও বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হতে পারেননি।
৩) ব্রায়ান লারা:
লারার টেস্ট ক্রিকেটের কৃতিত্বের কথা তো সকলেরই জানা, তবে ওয়ানডে ক্রিকেটেও কোন মহারথীর তুলনায় কম নন। তার আগে খুব কম জনই ক্রিকেটে ১০ হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন। নিঃসন্দেহে তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একজন। কিন্তু তার নামেও কোন বিশ্বকাপ জয়ের শিরোপা নেই।
৪) জ্যাক ক্যালিস:
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডারের কথা বলতে গেলে সবার প্রথমে জ্যাক ক্যালিসের নাম নিতে হয়। ব্যাটিং ও বোলিং এর তিনি সমান পারদর্শী ছিলেন এবং তার ধারাবাহিকতা তাকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে গিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার স্বর্ণযুগের সময়ের ক্রিকেটার হলেও তার নামে কোন বিশ্বকাপ জয়ের তকমা নেই।
৫) কুমার সাঙ্গাকারা:
কুমার সাঙ্গাকারার সম্পর্কে কোন প্রশংসা যথেষ্ট নয়। শচীন টেন্ডুলকারের পরেই তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান। তিনি তার ১৫ বছর ক্রিকেট কেরিয়ারে ৪০০ এর বেশি ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপে টানা দুইবার শ্রীলঙ্কা দল ফাইনালে উঠলেও তার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়নি।