জাতীয় স্তরের ক্রিকেটে পা রাখলেই খেলোয়াড়দের জীবন রাতারাতি বদলে যায়। আমরা কমবেশি মহেন্দ্র সিং ধোনির দারিদ্র্যের কথা জানি। তার পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা একেবারেই ভাল ছিলনা। জাতীয় দলে পা রাখার পরই বড় তারকা হয়ে ওঠেন এবং আজ তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী খেলোয়াড়।
তবে ধোনি কেবল একাই নন, তার মতো অনেক ভারতীয় খেলোয়াড় রয়েছেন যারা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন নি। কঠিন পরিশ্রমেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন এবং এখন তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন।
☞ যে ভারতীয় ক্রিকেটাররা দারিদ্র্যের প্রাচীর ভেঙে ধনী খেলোয়াড় হয়েছেন:-
☞ টি নটরাজন:
টিম ইন্ডিয়ার বাঁহাতি পেসার টি নটরাজনের পরিবার আগে খুবই দরিদ্র ছিল। নটরাজনের পরিবারে পাঁচ ভাই, যাদের সঠিকভাবে বড় করার জন্য অর্থও ছিল না তার বাবার কাছে। তবে আইপিএলে অভিষেকের পর থেকেই নটরাজনের ভাগ্য বদলে গেছে।
☞ মোহাম্মদ সিরাজ:
টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার মহম্মদ সিরাজের গল্পটাও অন্যরকম ছিল। তার বাবা রিকশা চালাতেন এবং তার ছেলেকে ক্রিকেটার করার জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। শেষ পর্যন্ত তার ভাগ্যও ফলপ্রসূ হয় এবং তিনি এখন টেস্ট দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
☞ হার্দিক ও ক্রুনাল পান্ডিয়া:
বর্তমানে হার্দিক ও ক্রুনাল পান্ডিয়া, এই দুই ভাইকে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে গণ্য করা হয়। কিন্তু কোটি কোটি টাকা আয় করা এই দুই খেলোয়াড়ের পরিবারও এক সময় খুবই দরিদ্র ছিল।
☞ জসপ্রীত বুমরাহ:
টিম ইন্ডিয়ার সেরা বোলার জসপ্রীত বুমরাহও আজ ক্রিকেট বিশ্বে খুব নাম করেছে। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন তাদের জুতো এবং টি-শার্ট কেনার মতো পয়সা ছিল না। যাইহোক আজ তার ক্রিকেটীয় জনপ্রিয়তা তুঙ্গে এবং উপার্জনও বেশি।
☞ রবীন্দ্র জাদেজা:
বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা এখন রাজকীয় জীবনযাপন করছেন। তার কোটি টাকার একটি বাংলো রয়েছে এবং তার শখগুলিও খুব বড়। তবে খুব কম লোকই জানে যে জাদেজার বাবা প্রহরী হিসাবে কাজ করতেন এবং তার মা একজন নার্স ছিলেন। তবে বর্তমানে এই খেলোয়াড় সাফল্যের রঙে তার জীবনকে পুরোপুরি এঁকেছেন।
☞ উমেশ যাদব:
উমেশ যাদবের বাবা একজন কয়লাখনিতে সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি চেয়েছিলেন ছেলে যেন বড় হয়ে সরকারি চাকরি করে। তবে উমেশের ভাগ্য তাকে সেই ২২ গজেই নিয়ে আসে।
☞ ভুবনেশ্বর কুমার:
ভারতীয় মিডিয়াম ফাস্ট বোলার ভুবনেশ্বর কুমারের পরিবারও অত্যন্ত দরিদ্র ছিল। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন যে তার জুতো কেনার পয়সা ছিলনা এবং তার দিদিই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।