২০১৯ বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়ে কোহলিদের তুলোধোনা করলেন যুবরাজ সিং

২০১১ সালের পর ভারতীয় দল আর কখনও ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। সেই বিশ্বকাপের হিরো ছিলেন যুবরাজ সিং। এরপর ২০১৫ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গিয়েও হারতে হয়েছে। ২০১৯ বিশ্বকাপের দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারতীয় দল সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার কবলে পড়েছিল। আর এই নিয়েই ফের প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। বিরাট কোহলিরা কেন বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছিল তা জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি এক টেলিভিশন শো-তে যুবরাজ সিং জানিয়েছেন, ২০১১ বিশ্বকাপের সময় আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ সঠিক ছিল। কে কোথায় খেলবে তা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে তেমনটা হয়নি। বিজয় শঙ্করকে চার নাম্বারে ব্যাটিং করতে নামানো হয়, কিন্তু ওর মাত্র সাতটি ওডিআই ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। এদিকে ওর চোট পাওয়ার পর ঋষভ পান্থকে আনা হয়। কিন্তু তারও চারটি একদিনের ম্যাচের খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। দল বাছাইয়ে ভুল হয়েছিল।”

আসলে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। যদিও সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ভারতীয় দলকে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হারতে হয়। তবে সেবারও ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ দুর্দান্ত ছিল বলে জানিয়েছেন যুবরাজ সিং। তিনি বলেছেন, “২০০৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে মিডল অর্ডারে আমি, দিনেশ মোঙ্গিয়া ও মোহাম্মদ কাইফ খেলেছিলাম। ততদিনে আমাদের প্রত্যেকেরই ৫০টি করে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় অভিজ্ঞতার গুরুত্ব অনেক বেশি।”  

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ভারতীয় দল ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জেতে। সেই প্রতিযোগিতায় দুরন্ত ছন্দে থাকা যুবরাজ সিং ক্যান্সারকে সঙ্গে নিয়েও বোলিং ব্যাটিংয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন। যে কারণে তিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। এরপর যুবরাজ সিংয়ের ক্যারিয়ারে ভাটা পড়ে এবং তিনি সেভাবে আর ফিরতে পারেননি। তিনি আশা করেছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে জায়গা পাবেন কিন্তু এমনটা হয়নি। হয়ত সেই ক্ষোভেই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন আর এটি তার কিছুটা প্রতিফলন বলা যেতে পারে। 

যুবরাজ সিংয়ের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের কথা বললে, এই কিংবদন্তি খেলোয়াড় ভারতের হয়ে টানা ১৭ বছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। যুবরাজ ৩০৪টি ওডিআই ম্যাচে ৩৬ গড়ে ৮৭০১ রান করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৫২টি হাফ সেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ স্কোর ১৫০ রান। এছাড়া বল হাতে নিয়েছেন ১১১টি উইকেট।