আসামের জাতীয় অরণ্যের নাম ‘কাজিরাঙা’ হল কেন? এর পিছনে রয়েছে চোখে জল এনে দেওয়া এক প্রেম কাহিনী

জানেন আসামের এই জঙ্গলের নাম কেন কাজিরাঙা রাখা হলো?

Kaziranga National Park: ভারতবর্ষের যে কয়েকটি জাতীয় অরণ্য রয়েছে, তার মধ্যে কাজিরাঙা অন্যতম। এটি আসাম (Assam) রাজ্যের গোলঘাট ও নওগাঁ জেলার অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। এছাড়াও এটি একটি ইউনেস্কো (UNESCO) বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে পরিচিত। বলা হয়, বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ গন্ডার শুধুমাত্র কাজিরাঙ্গাতেই রয়েছে।

১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংরক্ষিত অরণ্যকে ১৯৭৪ সালে জাতীয় অরণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভারতের অন্যান্য সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তুলনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজিরাঙার সাফল্য বেশি। তবে যাইহোক এই জঙ্গলের কাজিরাঙা নামকরণ হওয়ার পেছনে রয়েছে চোখে জল আনা এক প্রেম কাহিনী, যা মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়।

কথিত আছে, সেখানকার বাসিন্দা কাজির সঙ্গে প্রেম ছিল এক তরুণীর, যার নাম রাঙা। এই তরুণ-তরুণীর মধ্যে গভীর প্রেম থাকলেও তাদের সম্পর্কটা পরিবারের তরফে কেউই মেনে নেয়নি। এর জন্য তারা তাদের পরিবারকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেও, তারা ব্যর্থ হয়। তখন একদিন কাজি আর রাঙা মনের দুঃখে ওই জঙ্গলে চলে যায়। 

এরপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলে তাদের খোঁজ শুরু হয়। তাদের ফিরিয়ে আনতে গেলে জঙ্গলের আনাচ-কানাচ খুঁজে দেখেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাদের আর কখনো দেখা মেলেনি। আর কোনদিনও ওই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসেনি কাজি আর রাঙা। এই প্রেমগাথা আজও স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে ফেরে। বলা হয় সেই থেকেই এই জঙ্গলের নাম হয় কাজিরাঙা। 

যদিও কেউ কেউ দাবি করেন এই জঙ্গলের নামকরণের পেছনে রয়েছে অন্য এক কারণ। এই অরণ্যকে অনেকে লাল ছাগলের জমিও বলে থাকেন। এখানে ছাগল বলতে হরিণ বোঝানো হয়েছে। এখানকার স্থানীয় কার্বি ভাষায়, কাজি নামে ছাগল আর রাঙা মানে লাল। সুতরাং এই কারণেই নাকি জঙ্গলটি কাজিরাঙা নামে পরিচিত।