টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক এক মাস আগে বিরাট কোহলি হঠাৎই ঘোষণা করলেন, আসন্ন বিশ্বকাপের পর আর তাকে অধিনায়ক এর ভূমিকায় আর দেখা যাবে না। তার এই সিদ্ধান্তে ক্রিকেটমহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এমন সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন আবার অনেকেই অবাক হয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব তিনি ছাড়লেন কেন? প্রকাশ্যে এসেছে এই তিনটি কারণ, নিম্নে আলোচনা করা হলো।
১) আইসিসি টুর্নামেন্ট ব্যর্থতা:
২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তীরে এসে তরী ডোবে ভারতের। এরপর ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বিরাট কোহলি দের। এমনকি চলতি বছরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বিশ্বসেরা হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন বিরাট কোহলি। তিন তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টে ব্যর্থ তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও তিনি এমনিতেও অধিনায়কত্ব হারাতেন। সেই কারণেই তিনি এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন।
২) আইপিএলে রোহিত শর্মা সাফল্য:
এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটের অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মা নিঃসন্দেহে বিরাট কোহলির চেয়ে এগিয়ে। ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফি ও এশিয়া কাপে ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন। এছাড়া আইপিএলে তার দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করেছেন। অন্যদিকে আরসিবি নেতা বিরাট কোহলির ভাগ্যে এখনও ট্রফি জোটেনি। স্বাভাবিকভাবেই এই অদৃশ্য চাপ পড়েছে কোহলির উপর। তার নেতৃত্ব ছাড়ার কারণ এটিও হতে পারে।
৩) ম্যানেজমেন্ট দলের বদল:
বর্তমান ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর জুটি একেবারে রাম-লক্ষণ জুটি, তা সকলেরই জানা। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই নাকি কোচের দায়িত্বে থাকা রবি শাস্ত্রীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে কোচ হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কোন প্রাক্তন ভারতীয়রই। এছাড়াও কানাঘুষো শোনা গিয়েছে নতুন নির্বাচন কমিটির সাথে বিরাট কোহলির মনোমালিন্য রয়েছে। হয়তো এসব বিচার করেই নেতৃত্ব ছাড়ার পথ বেছে নিলেন বিরাট কোহলি।