এদিন ১৮ই আগস্ট বিরাট কোহলির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ বছর পূর্ণ হল। ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন। ক্রিকেটবোদ্ধারা তাকে, মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকারের উত্তরসূরী খেলোয়াড় হিসেবে মনে করেন। এই দুই ব্যাটসম্যান ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র।
আজকের প্রতিবেদনে, প্রথম ১৩ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে বিচার করলে কে বেশি এগিয়ে? বিরাট কোহলি নাকি শচীন? এবার সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক:-
☞ ম্যাচের পরিসংখ্যান:
শচীন টেন্ডুলকারের সময় টি-টোয়েন্টির কোনো নামগন্ধ ছিল না, তাই বিরাট এর তুলনায় ম্যাচের পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছেন। আর এদিকে টি-টোয়েন্টি আসার পরেই বিরাট কোহলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন। শচীন টেন্ডুলকার তার প্রথম ১৩ বছর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মোট ৪০৩টি ম্যাচ আর সেখানে বিরাট কোহলি ৪৩৮টি ম্যাচ খেলেছেন।
☞ রান সংখ্যা:
শচীনের মতোই বিরাট কোহলি তাঁর ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে রান করে এসেছেন। ক্রিকেটের ইতিহাসে শচীন টেন্ডুলকার সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান আর বর্তমানে সক্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে কোহলি সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। পরিসংখ্যান বলছে, এই সময়ের মধ্যে শচীন ২০,২৫৫ রান করেন। আর বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে ২২,৯৩৭ রান আসে।
☞ সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর:
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ১৩ বছরে শচীন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল ২১৭ রান, ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচে করেন। এদিকে বিরাট কোহলির সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ২৫৪ অপরাজিত রান। ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচে করেছিলেন।
☞ ব্যাটিং গড়:
এই দুই মহান খেলোয়াড় এর ব্যাটিং গড় অতুলনীয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শচীন টেন্ডুলকারের এই সময়ের মধ্যে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৪৯.৪০। অন্যদিকে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এই মুহূর্তে ব্যাটিং গড় ৫৫.৪০।
☞ সেঞ্চুরি / হাফ সেঞ্চুরি:
জানিয়ে রাখি, শচীনের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি আসতে ৭৫টি ইনিংস অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আর তিনিই একদিন ১০০টি সেঞ্চুরির মালিক হন। তবে প্রথম ১৩ বছরে শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাট থেকে ৬৪টি সেঞ্চুরি ও ৯০টি হাফ সেঞ্চুরি আসে। সেই তুলনায় বিরাট কোহলি কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন। তিনি এখনও পর্যন্ত ৭০টি সেঞ্চুরি ও ১১৫টি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।