অনেকেই বলেন ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে, এই ‘ষোলকলা’ কথাটির অর্থ কি

আমরা সকলেই জানি, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে আর পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে চন্দ্র। সূর্যের নিজস্ব আলো রয়েছে তবে চাঁদের কোনও আলো নেই। সূর্যের আলো চাঁদের উপরে আলো পড়লে সেই আলো প্রতিফলিত পৃথিবীতে আসে। এই কারণেই আমরা চাঁদকে স্পষ্ট দেখতে পাই।

যদিও চাঁদের একটি দিককে আমরা দেখতে পাই। চন্দ্রের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে পার্শ্বগুলি সূর্যের আলোতে আলোকিত হয়। এই আলোকিত অংশের পরিমাণ শূন্য হতে বৃদ্ধি পেতে পেতে একসময় চন্দ্রের সেই পৃষ্ঠ শতভাগ আলোকিত হয়, তখন বলা হয় পূর্ণিমা। আর আলোকিত অংশের পরিমাণ একেবারে শূন্য হয়ে গেলে তখন অমাবশ্যা।

চাঁদের আলোকিত অংশের হ্রাস বৃদ্ধির একটি অধ্যায়কে বলা হয় কলা বা চন্দ্রকলা। কলার মোট সংখ্যা ১৬টি। এই প্রতিটি কলার আবার আলাদা আলাদা নামও রয়েছে যেমন — অমৃতা, মানদা, পূষা, তুষ্টি, পুষ্টি, রতি, ধৃতি, শশিনী, চন্দ্রিকা, কান্তি, জ্যোৎস্না, শ্রী, প্রীতি, অক্ষদা, পূর্ণা এবং পূর্ণামৃতা।

ষোলটি কলা পূর্ণ হলেই চাঁদের পূর্ণিমা অথবা অমাবস্যা হয়। চাঁদের এই ষোলটি কলা থেকেই ‘ষোলকলা’ কথাটির উৎপত্তি হয়েছে। সাধারণত কারও পতন হলেই আমরা পাপের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে বলে থাকি।