জানেন পশ্চিমবঙ্গের এই জেলা নিজেদের অধিকারের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবি করে

আমাদের রাজ্যের উত্তরবঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। প্রতিবছর এখানে বহু পর্যটক পরিদর্শনের জন্য আসেন। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জায়গার তুলনায় এখানকার আবহাওয়া অনেকটাই মনোরম ও শান্ত প্রকৃতির। উত্তরবঙ্গের তেমনই একটা জেলা হল কোচবিহার। প্রাচীনকালে আর্য সম্প্রদায়কে কোচবিহারের বাসিন্দা বলে ধরা হতো।

Image

এর আশেপাশের অঞ্চল থেকে গোস্বামী এবং ভট্টাচার্যরা এই এলাকায় আসতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে কোচবিহারের জনঘনত্ব বাড়ে। এছাড়াও কোচবিহারী যারা অর্থাৎ তপশিল এবং আদি সম্প্রদায়ের মানুষ তারা তাদের অধিকারের জন্য দাবি জানায় এবং সেই কারণে একটি স্বায়ত্তশাসন মঞ্চ গঠন করে। তাদের দাবি ছিল ‘কামতাপুর’ ভাষার ভিত্তিতে একটি পৃথক রাজ্য গঠন করা।

কোচবিহারে রাজবাড়ি এখনো বহু লোকের দর্শনীয় স্থান। বহু পর্যটক এই রাজবাড়ী দেখার জন্য এখানেই আসেন। এই রাজ বংশের শেষ রাজা ছিলেন মহারাজা যজ্ঞদ্বিপেন্দ্র নারায়ন বাহাদুর। এখানকার সংস্কৃতি বলতে সবটাই বাঙালি মতেই পালন করা হয়। এই অঞ্চলের খুব নামকরা এবং প্রসিদ্ধ উৎসব হলো রাশ উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিরাট মেলা বসে। বহু মানুষই রাশ পূর্ণিমার সময় এখানে আসেন উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য।

Image

১৯৪৮ সালে মে মাসে প্রথম কোচবিহারে বিমান পরিষেবা চালু হয় কলকাতা পর্যন্ত, যা ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স, কালিঙ্গা এয়ারলাইন্স, জাম এয়ারলাইন্স। বর্তমান এই পরিষেবা সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। এরকম বহু অজানা তথ্য রয়েছে এই জেলায়, যার অনুমান আমাদের অনেকেরই নেই।