সর্বকালের সেরা ৫ ক্রিকেট আম্পায়ার; আপনার মতে সেরা কে

ক্রিকেটে আম্পায়ারদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আম্পায়ারের একটি ভুল সিদ্ধান্ত পুরো ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে পারে। একজন সফল আম্পায়ার তখনই তাকে বলা হয় যে ক্রিকেট খেলা খুব ভালো বোঝেন এবং এমনকি পরিস্থিতির চাপেও ভালোভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই প্রতিবেদনে এমনই পাঁচজন আম্পায়ারের সম্পর্কে বলা হয়েছে যারা চমৎকার আম্পায়ারিং দেখিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। 

সর্বকালের সেরা ৫ ক্রিকেট আম্পায়ার

৫) বিলি বাউডেন:

বিলি বাউডেন এমন একজন আম্পায়ার ছিলেন যিনি তার সিদ্ধান্তের সময় অনন্য পদ্ধতির কারণে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। ছক্কা বা চার হলে তিনি অদ্ভুত রকমের ইঙ্গিত দিতেন আর ব্যাটসম্যান আউট হলে একটা আঙ্গুল বেঁকিয়ে দিতেন। বিলি বাউডেন ২০০৩ সালে আইসিসি এলিট প্যানেলে আম্পায়ারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন এবং ৭৫টি টেস্ট ১৮১টি ওডিআই এবং ১৯টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৪) রুডি কার্টজেন:

রুডি কার্টজেন ১৯৯৭ সাল থেকে তার আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তিনি তার ক্যারিয়ারে ১০৮টি টেস্ট এবং ২০৯টি ওডিআই ম্যাচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি আম্পায়ারিংয়ের রেকর্ড তার দখলে। ১৯৯৯ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্যও তার নাম বিতর্ক ছিল। ব্যাটসম্যানকে আউট দেওয়ার সময় স্লো মোশনে আঙ্গুল তুলতেন, যা আজও অনেকের মনে আছে।

৩) ডেভিড শেফার্ড:

প্রয়াত ডেভিড শেফার্ড ১৯৮১ সালে তাঁর আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং তার চমৎকার আম্পায়ারিংয়ের কারণে দুই বছরের মধ্যে ১৯৮৩ বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং প্যানেলে যোগ দেন। তিনি ১৯৯৬ – ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল সহ তার ক্যারিয়ারে ৯২টি টেস্ট এবং ১৭২টি ওয়ানডে ম্যাচের দায়িত্ব পালন করেছেন।

২) ডিকি বার্ড: 

ডিকি বার্ডকে বিশ্বের সেরা আম্পায়ারদের মধ্যে গণ্য করা হয়। তিনি তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল সহ ৬৬টি টেস্ট ও ৬৯টি ওয়ানডে ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন (১৯৭৫-১৯৮৩)। ১৯৯৬ সালে তার শেষ টেস্ট ম্যাচে ডিকি বার্ডকে অস্ট্রেলিয়ান এবং ভারতীয় খেলোয়াড়রা গার্ড অফ অনার দিয়েছিলেন। কোনও সন্দেহ নেই তিনি বিশ্বের সর্বকালের সেরা আম্পায়ারদের মধ্যে একজন।

১) সাইমন টাফেল:

অস্ট্রেলিয়ার সাইমন টাফেল বিখ্যাত আম্পায়ারদের মধ্যে সেরা। ১৯৯৯ সালে তিনি তার আম্পায়ারিংয়ের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এবং সবচেয়ে ধারাবাহিক আম্পায়ার ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে টানা পাঁচবার আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কৃত হন। ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের পর তিনি অবসর ঘোষণা করেন। সাইমন টাফেল ৭৪টি টেস্ট, ১৭৪টি ওয়ানডে এবং ৩৪টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন।