Golden River: ভারতের শত শত ছোট বড় নদী প্রবাহিত হয়। এর মধ্যে কিছু নদী মানুষের জীবিকা নির্বাহেরও মাধ্যম। অনেক রাজ্যের কৃষকরা কৃষিকাজের জন্য শুধুমাত্র নদীর জলের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই প্রতিবেদনে এমনই একটি নদীর কথা বলা হয়েছে, যেখান থেকে সোনা পাওয়া যায় এবং এই নদীর আশেপাশে বসবাসকারী মানুষের আয়ের উৎস।
আসলে এই নদী থেকে সোনা আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এই টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল এই নদীতে সোনা আসে কোথা থেকে, এই বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা এর জন্য গবেষণাও করেছিলেন কিন্তু কোনো সুরাহা পাননি। তাই এই নদীতে সোনা কোথা থেকে আসে তা আজও রহস্য।
এই নদীটি ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে প্রবাহিত হয়, যার নাম সুবর্ণরেখা নদী। এছাড়া নদীটির পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যতেও প্রবাহিত হয়েছে। এটি ঝাড়খণ্ডের ছোটনাগপুরের মালভূমিতে অবস্থিত নাগদি গ্রামের চুয়ান থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এই নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৪৭৪ কিলোমিটার। এই নদী বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।
তবে ঝাড়খণ্ডের যে অংশটিতে সুবর্ণরেখা নদীটি প্রবাহিত হয়, লোকেরা সকাল থেকে সোনা তোলার জন্য বালি উত্তোলন করে। কয়েক প্রজন্ম ধরে মানুষ এখানে সোনা আহরণ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলেই এই নদী থেকে সোনা আহরণ করে। একজন ব্যক্তি মাসে প্রায় ৬০ থেকে ৮০টি সোনার কণা খুঁজে পান।
সুবর্ণরেখা নদীতে সোনা কোথা থেকে আসে তা এখনো পর্যন্ত রহস্য। কিছু ভূতাত্ত্বিকের মতে, সুবর্ণরেখা নদী পাথরের মধ্য দিয়ে আসে। হয়তো সেই কারণেই এতে সোনার কণা পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে সঠিকভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি সুবর্ণরেখার উপনদী গুলিতেও সোনা পাওয়া যায়। যেমন কারকারি নদীর বালিতেও সোনা মেলে।