ভারতীয় ক্রিকেটে বেশিভাগ ব্যাটসম্যানরাই উপযুক্ত সম্মান পেয়ে থাকেন, তবে বোলারদের কৃতিত্বও যে কম যায় না একথা অনস্বীকার্য। অতীতে এমন ভারতীয় বোলার ছিলেন যারা তাদের বোলিংয়ের মাধ্যমে দলের মান বাড়িয়েছেন। এর পাশাপাশি তারা এমন কতগুলি কৃতিত্ব অর্জন করেছেন হয়তো অন্য কোন দলের পক্ষে তা ভাঙ্গা খুবই কঠিন হবে। আজকের প্রতিবেদনে সেই পাঁচটি রেকর্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো:-
১) টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং ফিগার:
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং ফিগার রয়েছে ভারতীয় বোলার দীপক চাহারের নামে। ২০১৯ সালে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ৭ রানের বিনিময়ে। নাগপুরে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাট করে ১৭৪ রান তোলে। জবাবে বাংলাদেশ দীপক চাহারের বোলিংয়ে বিধ্বস্ত হয়ে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায়। বিশ্বের সেরা বোলিং ফিগার নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি।
২) টানা ২১ ওভার মেডেন:
প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার বাপু নাদকর্ণী একটি টেস্ট ম্যাচে টানা ২১ ওভার মেডেন বোলিং করে রেকর্ড করেছিলেন। ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। এই ইনিংসে তিনি মোট ৩২ ওভারে ৫ রান দেন ও ২৭ ওভার মেডেন করেছিলেন। বাপু নাদকর্ণী ভারতের হয়ে ৪১ টেস্টে ৮৮টি উইকেট নিয়েছেন। কয়েক দশক পেরিয়ে গেলেও আজও এই রেকর্ডটি অক্ষত রয়েছে।
৩) টেস্টের প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিক:
ইরফান পাঠান বিশ্বের একমাত্র বোলার যিনি কোনও একটি টেস্ট ম্যাচের প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিক নিয়ে বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। ২০০৬ সালে পাকিস্তান সফর করে ভারতীয় দল। করাচি টেস্টের প্রথম ওভারেই পরপর তিন ব্যাটসম্যান (সালমান বাট, ইউনিস খান ও মোহাম্মদ ইউসুফ)কে প্যাভিলিয়নের ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিক করেন।
৪) বিরামহীন ৫৯ ওভার:
বর্তমানে টি-টোয়েন্টিতে আক্রমনাত্মক ব্যাটিংয়ের কারণে বোলারদের মাত্র ৪ ওভার পূর্ণ করতে তেল-ঘাম ছুটে যায়। এর আগে ভারতীয় বোলার নরেন্দ্র হিরওয়ানি একটানা ৫৯ ওভার বোলিং করে বিশ্বরেকর্ড করেছেন। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচে বিরামহীনভাবে ৩৫৪টি বল করেছিলেন।
৫) অবিশ্বাস্য ডিফেন্ড:
শচীন টেন্ডুলকারকে কেবল আমরা ব্যাটিংয়ে রেকর্ড এর খাতায় খুঁজে পায় তাই নয়, তিনি বোলিংয়েও কয়েকটি রেকর্ড অর্জন করেছেন। এরমধ্যে একটি হলো শেষ ওভারে প্রতিপক্ষ দলের জয়ের জন্য ৬ বা ৬ রানেরও কম টার্গেট থাকা সত্ত্বেও তিনি বোলিংয়ের মাধ্যমে দলকে জিতিয়েছিলেন। এটি কেবল একবার নয়, দু-দু’বার এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ও আরেকবার ১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে উইকেট সহ ৬ রানেরও কম রান দিয়ে তিনি ডিফেন্ড করেছিলেন — যা একটি বিশ্বরেকর্ড।