বিশ্বের ধনীতম ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ আইপিএল কেবল ভারতে নয় বিদেশেও সমানভাবে জনপ্রিয়। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরের বছরেই ভারতে ঘরোয়া লিগ আইপিএল চালু হয়। এরপরে অনেক দেশ তাদের ঘরোয়া লীগ চালু করেছিল তবে আইপিএলের মতো সাফল্য পায়নি।
তবে আপনি কি জানেন আইপিএলে ধারণাটি কোথা থেকে এসেছে? এই বিশ্বের ধনীতম ফ্র্যাঞ্চাইজি আইপিএলের ধারণাটি এসেছে আসলে ফুটবল থেকে। হ্যাঁ, ফুটবল ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগগুলি বছরের পর বছর ধরে একই ধাঁচে খেলে আসছে।
১) ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ ফরম্যাট:
আসলে ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ অনুসারে খেলা হয় ফুটবলে। আর এই ধারণাটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের জন্য চালু করেছিলেন ললিত মোদী। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া এই লীগ আজ সফল হয়েছে। কারণ আইপিএলের হাত ধরেই উঠে এসেছে অনেক নামিদামি ক্রিকেট তারকা যারা জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন।
ফুটবলের মতই আইপিএলের প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলোয়াড়দের পেছনের জলের মতো টাকা খরচ করে। এই ক্ষেত্রে বছর বছর তরুণ ক্রিকেটাররা লক্ষ লক্ষ টাকায় নিলামে বিক্রি হন ও রাতারাতি কোটিপতি হয়ে ওঠেন।
২) প্লে অফস এর ধারণা:
২০০৮ সালে শুরু হওয়া আইপিএলের ফ্যান ফলোইং ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং আজ পরিস্থিতি এমন যেখানে ক্রিকেটপ্রেমীরা আইপিএলের জন্য অধীর আগ্রহে থাকেন। ২০১০ সাল অবধি আইপিএলে চারটি দল সেমিফাইনালে খেলত।
এরপর ২০১১ সালে ফুটবলের ধাঁচে প্লে অফস শুরু হয়। যেখানে ওই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ পয়েন্ট সংগ্রহকারী দল কেবল নকআউট পর্বে জয় লাভ করলেই ফাইনালে পৌঁছাবে। এরপর এরপর বাকি ৩টি দলের মধ্যে নকআউট পর্বে কেবল একটি দল ফাইনালে প্রবেশ করে।
৩) হোম-অ্যাওয়ে স্টেডিয়াম:
বর্তমানে আইপিএলের আটটি দল ১৬টি করে ম্যাচ খেলে। যার মধ্যে ৮টি ম্যাচ ঘরের মাঠে বাকিগুলি বাইরে। যা একইভাবে ফুটবলের ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলিতে চালু রয়েছে। আসলে হোম গ্রাউন্ডে প্রতিটি দল বাড়তি সুবিধা পায় এবং তাই অন্য ম্যাচটি বাইরে হয়। যাতে প্রতিটি দল সমানভাবে সুবিধা পায়।