ক্রিকেট ইতিহাসে এমন কয়েকজন অধিনায়ক ছিলেন যারা একসময় দেশের কাছে প্রচুর সম্মান ও মর্যাদা পেতেন কিন্তু তাদের ভুলের কারণে রাতারাতি নায়ক থেকে ভিলেন হয়ে যান। সেই লজ্জাজনক ঘটনার কারণে তাদেরকে ছাড়তে হয়েছিল অধিনায়কত্বও।
☞ এবার সেই পাঁচ অধিনায়কের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
১) হ্যান্সি ক্রোনিয়ে:
দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ে ম্যাচ ফিক্সিং এর কারণে তার পুরো ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডের কাছে রাতারাতি নায়ক থেকে ভিলেনে পরিণত হন। দুর্ভাগ্যবশত ২০০২ সালে তিনি একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যায়।
২) সাকিব আল হাসান:
বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকায় আইসিসি তাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। ২০১৮ আইপিএল চলাকালীন জুয়াড়িরা সাকিবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তা গোপন করেছিলেন। এই অপরাধে নিষিদ্ধ হন এবং অধিনায়কত্বও হারিয়েছিলেন।
৩) স্টিভ স্মিথ:
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ক্যামেরণ ব্যানক্রফ্টকে বল টেম্পারিং করতে দেখা যায়। এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের দোষ স্বীকার করে নেন। এরপর তিনি এক বছর নিষিদ্ধ হন। ফলে অধিনায়কত্বও হারিয়েছিলেন।
৪) মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন:
নব্বইয়ের দশকের অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের ক্যারিয়ারও ম্যাচ গড়াপেটার কারণে শেষ হয়ে যায়। ম্যাচ ফিক্সিং এর কারণে বিসিসিআই তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করে। ভারতের হয়ে তিনি ৯৯টি টেস্ট এবং ৩৩৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন।
৫) সলমান বাট:
পাকিস্তানের ওপেনার ব্যাটসম্যান সলমান বাট ২০১০-১১ ইংল্যান্ড সফরে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য জড়িত হলে পিসিবি তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। ফিক্সিং বিতর্কে জড়িয়ে যাওয়ার কারণে তাকে তার অধিনায়কত্ব হারাতে হয়। এখন তিনি পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের সাথে যুক্ত।