Qutub Minar: কুতুব মিনার কুতুবউদ্দিন আইবক, ইলতুৎমিশ, ফিরোজ শাহ তুঘলক, শের শাহ সুরি এবং সিকান্দার লোদির মতো শাসকদের নিজ নিজ শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। এটি দিল্লির মেহরাউলিতে অবস্থিত। প্রতি বছর ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ পর্যটক কুতুব মিনার দেখতে আসেন।
যাইহোক, এখন আপনি কুতুব মিনার শুধুমাত্র বাইরে থেকে দেখতে পারেন। এর ভেতরে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। কিন্তু ৪৩ বছর আগে পর্যটকদেরও ভেতরে যেতে দেওয়া হত। এবার জেনে নিনি ৪৩ বছর আগে কি ঘটেছিল যে কারণে কুতুব মিনারের দরজা চিরতরে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল।
এই দিনটি ছিল ১৯৮১ সালের ৪ ডিসেম্বর। শুক্রবার হওয়ায় কুতুব মিনার পর্যটকে ঠাসা। সর্বত্র মানুষ ছিল। কুতুব মিনারের ভেতরেও বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারপরে এমন কিছু ঘটল যে চারদিক থেকে কেবল চিৎকার শোনা গেল।
তখন সকাল সাড়ে এগারোটা। কুতুব মিনারের ভেতরে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। তারপর হঠাৎ টাওয়ারের ভেতরের আলো নিভে যায়। এ সময় টাওয়ারের ভেতরে প্রায় ৫ শতাধিক লোক ছিল। বাতি নিভে গেলেই মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
তখন জনতার মধ্যে কেউ গুজব ছড়ায় যে কুতুব মিনার পড়ে যাচ্ছে। সর্বত্র বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং লোকেরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করে। কুতুব মিনারের ভিতরে হুড়োহুড়িতে অনেকে পদদলিত হয় এবং তারা যে কোনও উপায়ে কুতুব মিনার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
যখন পদদলিত হয়, তখন ভিতরের দৃশ্য ছিল ভয়াবহ। সেখানে বহু মানুষ আহত ও মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। তৎকালীন সংবাদপত্র হিন্দুস্তান টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যে এই পদদলিত হয়ে ৪৫ জন নিহত হয়েছিল। এছাড়া আহত হন ২১ জন। এ কারণেই তখন থেকে কুতুব মিনারের দরজা বন্ধ।