প্রতিটি T20 বিশ্বকাপের ফাইনালে ‘ম্যান অব দ্যা ম্যাচ’ নির্বাচিত হয়েছেন যে ৬ জন ক্রিকেটার

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। মিচেল মার্শ এর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে কিউই বোলাররা বিধ্বস্ত হন। তিনি ৫০ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত থেকে দেশকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা দেন। আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, প্রতিটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যারা ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন, এবার তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত রইল। জানিয়ে রাখি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলস দুবার এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।

১) ইরফান পাঠান:

I didn't want to tour Pakistan in 2003 for the U19 series: Irfan Pathan - CricTracker | DailyHunt

২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতীয় দলের প্রথম ব্যাট করে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ১৫৭ রান তোলে। গৌতম গম্ভীর ৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন। জবাবে পাকিস্তানি দল ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত ৫ রানের জন্য পরাজিত হয়। ইরফান পাঠান ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২) শাহিদ আফ্রিদি:

Pakistan Is Everything For Me, Won't Play IPL Even If Invited: Afridi

ইংল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরু হলেও, এশিয়ান দলগুলো বিশ্বপর্যায়ে এই ফরম্যাটে আধিপত্য বিস্তার করে। ২০০৯ সালে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়। এই ম্যাচে শাহিদ আফ্রিদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১টি উইকেট সহ ব্যাট হাতে ৪০ বলে ৫৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে ছিলেন।

৩) ক্রেগ কিজওয়েটার:

World T20 Watchalong: Paul Collingwood, Kevin Pietersen on England's 2010 title triumph | Cricket News | Sky Sports

ক্রেগ কিজওয়েটার ইংল্যান্ডকে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে সহায়তা করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন। অজিরা ইংল্যান্ড দলের সামনে ১৪৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয়। কিজওয়েটার ৪৯ বলে ৬৩ রান করে, যার মধ্যে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল। ফলে ইংল্যান্ড দল ১৭ ওভারেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।

৪) মারলন স্যামুয়েলস: 

Men's T20I Innings Of The Decade, No.2: Marlon Samuels, On His Own

মারলন স্যামুয়েলস টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত। ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্যামুয়েলস নিজেকে বড় ম্যাচ উইনার খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে তিনি ১৩৭ রানে নিয়ে যান। তার ৫৬ বলে ৭৮ রানের ইনিংসটি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চ্যাম্পিয়ন হতে সহায়তা করেছিল। 

৫) কুমার সাঙ্গাকারা:

Cricket T20 World Cup 2014: Kumar Sangakkara guides Sri Lanka home for epic finish | The Independent | The Independent

২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাট করে ১৩০ রান করে। জবাবে কুমার সাঙ্গাকারার হাফসেঞ্চুরিটি (৩৫ বলে ৫২* রান) শ্রীলঙ্কা দলকে রান তাড়া করতে আরো সহজ করে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত তিনি দলকে জিতিয়ে ম্যাচের সেরা পুরস্কার পেয়েছিলেন।

৬) মারলন স্যামুয়েলস:

Match-winner Marlon enjoys his moment | cricket.com.au

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ১৫৫ রান তোলে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ১১ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারায়। এরপর মারলন স্যামুয়েলসের (৬৬ বলে ৮৫* রান) ব্যাটিংয়ে উপর ভর করে তারা জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। উল্লেখ্য, শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২২ রান দরকার ছিল। কার্লোস ব্রাথওয়েট টানা চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন করেন। 

৭) মিচেল মার্শ:

T20 World Cup Final: Australia seal win with batting masterclass against New Zealand | Sporting News Australia

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাটিং করে ১৭২ রান তোলে। কেন উইলিয়ামসনের ৮৫ রানের ইনিংসটি দলকে খুবই ভালো জায়গায় পৌঁছে দেয়। জবাবে অস্ট্রেলিয়া দল শুরুতেই অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট হারালেও ডেভিড ওয়ার্নার (৫৩) ও মিচেল মার্শ এর জুটিতে ৯২ রান ওঠে। এরপর ম্যাক্সওয়েলকে (২৮*) সঙ্গী করে ১৮.৫ ওভারে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। মিচেল মার্শ ৫০ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।