বাংলাদেশী অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠালো আইসিসি। গত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করে এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন কিন্তু তিনি যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাতে কেউ খুশি নয়। যদিও এই ঘটনাটি দুই বছর আগে ঘটেছিলো এতদিন আইসিসির কাছে মুখ না খোলায় তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। জুয়াড়িদের সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন সেই কথা ফাঁস হওয়ায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল।
এর ফলে তিনি ভারত সফরে অনিশ্চিত হয়ে গেলেন। এমনকি আগামী বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পারবে কিনা সে বিষয়ে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। যেহেতু তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা তিনটি অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে বলে, আইসিসির তরফ থেকে সাজা এক বছর কমিয়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে অর্থাৎ ২৪ মাসের বদলে এখন ১২ মাস তাকে ক্রিকেটের বাইরে কাটাতে হবে।
আরও পড়ুনঃ টেস্ট সিরিজ হেরে যাওয়ায় অতি হাস্যকর কারণ দেখালেন ফাফ দু প্লেসি
গত দুই বছর আগে, জুয়াড়িদের সাথে সাকিব-আল-হাসান কথা বলেছিলেন। ম্যাচ ফিক্সিং কান্ডের ব্যাপারে। তবে তিনি এই গড়াপেটায় রাজি হননি তবুও তিনি সেই কথা গোপন রেখেছেন। কিন্তু আইসিসির নিয়ম ধারায় এটি অবৈধ। আইসিসির দুর্নীতি শাখা দমনের কাছে এই কথা গোপন করার সম্পূর্ণ আইন বিরোধী বলে তাদের পিনাল কোড এমনই কথা লেখা আছে। কিন্তু সাকিব আল হাসান এই কথা আইসিসিকে কখনোই জানায়নি যে কারণেই তাকে ক্রিকেট থেকে দীর্ঘ দিনের জন্য বাইরে কাটাতে হবে।
আরও পড়ুনঃ সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায় বিরাট কোহলি!
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোন ক্রিকেটারের যদি কোন প্রকার জুয়াড়িদের সাথে যোগাযোগ হয় সেই কথা অতিসত্বর নিজস্ব দেশের ক্রিকেট বোর্ড এবং আইসিসিকে জানাতে হবে। কিন্তু সাকিব আল হাসান সেই নিয়ম লংঘন করে বিষয়টি গোপন করে রেখেছিলেন। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে দিল। তবে সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করায় তাকে ১ বছরের সাজা কম করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভারত এখনো পর্যন্ত কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে হারেনি
কয়েকদিন ধরেই বেশ কিছু ক্রিকেটারদের ওপর আইসিসির দুর্নীতি দমনের অফিসাররা নজর রেখেছিল। এরপর তারা তদন্ত করে জানতে পারে বাংলাদেশের বিখ্যাত অলরাউন্ডার জড়িত রয়েছে। আরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে বুঝতে পারে যে সাকিব-আল-হাসান জুয়াড়িদের সাথে টেলিফোন মারফত কথাবার্তা বলেছিল কিন্তু তাদের সাথে জড়ায়নি অথচ সেই ঘটনাটি পুরোপুরি চেপে রাখাই তার প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল আইসিসি।