বারবার ভেসে আসে জুতো পরা কাটা পা; এই সমুদ্রে কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে

১৮৮৭ সালে প্রথমবার ভ্যাঙ্কুভারে এক মানুষের পা কাটা দেখা গিয়েছিল। বুটের মধ্যে যেন সযত্নে রাখা ছিল ওই পা। সেই ঘটনায় তাৎক্ষণিক চাঞ্চল্য ছড়ালেও সেভাবে মানুষের মনে সাড়া ফেলেনি। কিন্তু এই ঘটনা প্রায় ঘটতে থাকলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় ও স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলি এই সমুদ্র সৈকতের উপর দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

The severed feet found on beaches near Seattle and Vancouver, explained - Vox

বছরের পর বছর এই ধরনের রহস্যজনক ঘটনা মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছিল। এই সৈকতে যারা ঘুরতে আসত তারা কেবল ঝিনুক বা অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী খোঁজ করত না। বরং তারা ভেসে আসা জুতোর খোঁজ করত। বহুদিন পরেও এই রহস্যের বিন্দুমাত্র উত্তর মেলেনি।  

তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান ছিল, এটা কোন সিরিয়াল কিলারের কাজ। খুন করে হয়তো তারা দেহাংশ ভাসিয়ে দিত। যা সমুদ্রস্রোতের মাধ্যমে পৌঁছে যেত ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সমুদ্রসৈকতে। কিন্তু দেহের অন্য কোনও অংশ কখনও এভাবে উদ্ধার হয়নি।

Image

তবে পরবর্তীকালে জানা যায়, আত্মহত্যা কিংবা দুর্ঘটনার কারণে এমনটা হয়ে থাকে। আসলে সমুদ্রের জলে দেহের বাকি অংশটা পচে গেলেও পায়ের যে অংশ জুতোর ভিতর ঢাকা থাকে সেগুলোতে নোনাজল সহজে ঢুকতে পারে না। আর সেই কারণেই হয়তো ওই পা সযত্নে থাকত।

এর পরও যে প্রশ্নটি থেকে যায়, বার বারই কেন ব্রিটিশ কলম্বিয়াতেই জুতোগুলি ভেসে আসে। এর ব্যাখ্যা দিতে ইনস্টিটিউট অফ ওসিয়ান সায়েন্সের এক সমুদ্রবিদ জানিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ সমুদ্র স্রোতের কারণেই হয়ে থাকে।